মহাগনর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে এক যাত্রায় পৃথক ফল! রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিককে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ কিন্তু সেই সন্দেশখালিতে শনিবার আটকে দেওয়া হল ডিওয়াইআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে ধামাখালি ঘাটের কাছে পুলিশ আটকে দেয়। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বলছেন, “মীনাক্ষী ম্যাডাম টোটোতে ঘুরছেন, পুলিশ বাধা দেয়নি।”
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি থানায় যেতে চাই এক পুলিশ কর্মী আমায় যেতে দিচ্ছেন না। আমরা বলেছি আমরা ১৪৪ ধারা মানবো, একা যাবো সন্দেশখালি থানায়। পুলিশ আমদের থানাতেও যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। গ্রামের মানুষের জমি,অর্থ,ইজ্জত লুঠ হচ্ছে। আমরা তাই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জমা দিতে চাই। এখানকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক আমাদের যেতে দিচ্ছেন না। আমরা খোঁজ নেবো এই পুলিশ আধিকারিক মতিউর রহমান আমাদের আটকাচ্ছেন, এই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে থানায়, তিনি যে থানয় থাকেন সেখানে অভিযোগ, বিক্ষোভ করব।” এদিকে সন্দেচখালিতে দাঁড়িয়ে শনিবার পার্থ ভৌমিক বলেন, “মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় টোটোতে করে ঘুরছেন। তাঁকে পুলিশ আটকাচ্ছে না। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে আসিনি, সেচমন্ত্রী হয়ে এসেছি।”
কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ ভৌমিক আমতা আমতা করে বলেন, “আমাদের কাছে শেখ শাহজাহানের নামে স্পেসিফিক অভিযোগ আসেনি।” অন্যদিকে সন্দেশখালির এক বাসিন্দা স্পষ্ট অভিযোগ করে বলেন, “সামনে লোকসভা ভোট তাই পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পার্থ ভৌমিক এসেছেন। আমি তৃণমূল করি, করবো। আমার পার্থ ভৌমিক আগে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে তারপর সন্দেশখালিতে আসুন। এভাবে সন্দেশখালিতে এসে লাভ নেই।”
রাজ্যের শাসকদল গ্রামবাসীদের শান্ত করতে তাদের অভিযোগ মতো শেখ শাহজাহান বাহিনীর দ্বারা কেড়ে নেওয়া জমি ফেরতের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে তাহলে এটা ধরে নেওয়াই যায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মান্যতা রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দল দিচ্ছে। তাহলে কেন পার্থ ভৌমিক বলছেন, “শেখ শাহজাহানের নামে স্পেসিভিক অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মিডিয়ায় অভিযোগ শুনে নয়।” অন্যদিকে কেন এতো দেরিতে সন্দেশখালির সমস্যা সমাধান করতে এসেছেন? এই প্রশ্নের জবাবে পার্থ ভৌমিক বলছেন, “খবর আগে পাইনি, এখন পেয়েছি, তাই ব্যবস্থা নিতে সরকার তৎপর হয়েছে।”
তাহলে জমি ফেরতের বিষয়ে পার্থ গ্রামবাসীর অভিযোগের মান্যতা দিলেও শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চাই, চেখ সিরাজের ফাঁসি চাই বলে আন্দোলনের ঢেউয়ে বাংলা কাঁপলেও সেই দাবি কী প্রবেশ করছে না প্রশাসনের কানে? তবে ১৪৪ ধারা মেনে ধামাখালি ঘাটের কাছে তিনজন করে দলে ভাগ হয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় অবস্থানে বসে আছেন।