মহানগর ডেস্ক : খাস কলকাতায় একী কাণ্ড! অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কলকাতায় এসে ফোর্টউফলিয়ামে ঢুকতে গিয়ে আটক রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী! অন্ধ্রপ্রদেশের একটি হোম থেকে ওই যুবক পালিয়ে কলকাতায় পা রাখে বলে খবর। শহরের একটি নামী ফাইভ স্টার হোটেলে রাত্রিযাপনের পর রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীর পরিচয়ে বিএমডব্লু গাড়ি নিয়ে ফোর্টউইলিয়ামে প্রবেশ করতে গেলেই হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল পরিচয় জানতে পারেন আধিকারিকরা। এক যুবকের এমন কীর্তিতে হতবাক ফোর্ট উইলিয়ামের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে তরুণের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতের নাম নাম বরোদা সুধীর। সে অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।১৪ মার্চ ওড়িশা থেকে ট্রেনে চেপে সোজা হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয়। সেক্ষেত্রে তার কাছে কোনও টিকিট ছিল না। পরে পৌঁছয় কলকাতা এয়ারপোর্টে। এরপর সেখান থেকে একটি ক্যাব বুক করে শহরের নামী হোটেলে যায়। সে ক্ষেত্রে ক্যাব চালকের কাছে নিজেকে আর্মি অফিসার এবং রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী পরিচয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, এরপর ১৪ মার্চ কলকাতার একটি নামী পাঁচতারা হোটেলে ওঠে। সেখানেই রাত কাটায়। পরে ফোর্ট উইলিয়ামে গেলে সে ধরা পড়ে যায়।আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ওই তরুণ হায়দারাবাদ পুলিশের কনস্টেবল সুনীল কুমারের পরিচয় ব্যবহার করেছিল। ভুয়ো পরিচয় তৈরির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মূলত ভুয়ো পরচয়কে অস্ত্র করেই ফোর্ট উইলিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করে যুবক। সেক্ষেত্রে তার কী উদ্দেশ্য ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য যে সমস্ত নথি ও পরিচয় পত্র মোবাইলেই দেখিয়েছিল ওই যুবক তা দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের।তারপরই তারা আট করেন যুবককে।