মহানগর ডেস্ক : মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে মুশিদাবাদে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ। তবে পুলিশের অনুমতি উপেক্ষা করেই অবশেষে মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমে রওনা হলো রাহুলের ন্যায় যাত্রা। তবে রাহুলের সভা করার বা কনভয় থেকে হাত নাড়ার অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। বাধা অতিক্রম করে অবশেষে শুক্রবার মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমে রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করল। সংবর্ধনা জানানো হয় রাহুল গান্ধীকে।
এদিকে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীকে অনুমতি দেওয়া হয়নি সভা করার বা রাস্তায় দাঁড়াবার। বীরভূম থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত রাস্তা দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ২২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রামপুরহাট পৌঁছে আজই দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাহুল। তারপর সেখান থেকে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে তিনি ঝাড়খণ্ড পৌঁছবেন। এদিকে রাহুল গান্ধীকে পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “আমর বহরমপুরের সভা করেছি মাইক ছাড়া। আজও মাইক ব্যবহার করিনি। মাধ্যমিক শুরু হবে পৌঁনে দশটায়। পরীক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবেন সেই সময় রাস্তায় রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা হলে অসুবিধা কোথায়?”তবে পুলিশের নিষেধে গুরুত্ব না দিয়ে নবগ্রাম থেকে রাহুল অবশেষে পৌঁছন বীরভূমে।
এদিকে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “প্রশাসনের গুরুত্ব মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের উপর। এটা রাহুল গান্ধি, অধীরবাবু জানেন। রাজনীতি করার জন্য অধীরবাবু এসব বলছেন।” আমরা দেখেছি এর আগে বাংলায় ঢোকার পর থেকেই বারবার বাধার মুখে পড়তে হয় ন্যায় যাত্রাকে। কোচবিহারে ন্যায় যাত্রায় প্রথম বাধা দেওয়া হয়। আর এবার মুর্শিদাবাদে বাধা দেওয়া হল। রোড শো-র অনুমতি পেলেন না কংগ্রেস সাংসদ। এমনকী গাড়িতে চেপে যাওয়ার সময় অনুগামীদের দিকে হাতও নাড়াতে পারবেন না তিনি, এমনই ফতোয়া জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা পুলিশ প্রশাসন। সিপএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, “ন্যায় যাত্রা ঘিরে যে উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা যাচ্ছে, মানুষের ন্যায়ের প্রতি যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তাতে যারা ভয় পাচ্ছে, তারাই বাধা দিচ্ছে। বিজেপি তো ভয় পেয়েছে, কিন্তু তৃণমূল তার থেকেও বেশি ভয় পাচ্ছে।”