মহানগর ডেস্ক : রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। ভোট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, রাজীব কুমার ভোটের কাজে অংশ নিতে পারবে না।
গত জানুয়ারি মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদে বসান। কমিশন রাজীব কুমারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের কাছে তিনটি নাম চেয়েছে। রাজ্য সরকার প্রবীণ তিন আইপিএস মুখার্জি, রনদীপ কুমার ও রাজেশ কুমারের নাম জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে বলে জানা যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বিরোধীরা খুশি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজীব কুমার অভিযুক্ত। তিনি পালিয়ে ছিলেন। তিনি রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করেন, তাই এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে জেলাতেও এরকম পক্ষপাতদুষ্ট একেকজন রাজীব কুমার আছেন।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের রাজীব কুমার। তিনি ভোটের দায়িত্বে থাকলে ভোটে পক্ষপাতিত্ব হবে। এটা আমরা নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে জানিয়েছিলাম। পুলিশ মহলে বলা হয়, রাজীব কুমার যোগ্য আইপিএস। আমার প্রশ্ন তিনি কেন তাঁর যোগ্যতা নষ্ট করছেন?”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কেন রাজীব কুমারের মতো দক্ষ আইপিএস আনুগত্য পালন করছেন এটা ভেবে অবাক লাগে। তিনি পারতেন সন্দেশখালির অপরাধীদের ধরতে, তবে সেটা তিনি করেননি।”
প্রসঙ্গত রাজীব কুমার ডিজি হওয়ার পর তৎকালীন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “দেখবেম কারও কথায় আবার কোনও নির্দোষকে আমার মতো গ্রেফতার করবেন না। আপনি একজন যোগ্য আইপিএস।”
প্রসঙ্গত সারদাকাণ্ডে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতারির সময় রাজীব কুমারের বড় ভূমিকা ছিল। বলা হয় রাজীব কুমার সারদাকাণ্ডকে প্রভাবিত করেছেন।