মহানগর ডেস্ক: একদিকে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংহতি যাত্রা। দুয়ে মিলে রাজ্য রাজনীতি একেবারে তোলপাড়। এর মধ্যেই শ্রীরামচন্দ্রের পুজোর আয়োজন করলেন ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডে ও তাঁর স্বামী প্রিয়াঙ্কু পান্ডে।
যাতে কিনা বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সাড়ে ৮ লক্ষ মাটির প্রদীপ দিয়ে রামমূর্তি তৈরি করিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামীর। বিহার থেকে আসা শিল্পী অনিল কুমারের এই মূর্তি তৈরি করেছেন। মূর্তি তৈরির পর রীতি মেনে যাগযজ্ঞ করে পুজোরও ব্যবস্থা হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন থেকেই এখানে পুজো শুরুর কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বহু মানুষ এই মূর্তি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। জায়গাটি কাকিনাড়ার জহর পার্কে। আবেগে মেতেছে সারা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। কিন্তু এতেই রাজনৈতিক দস্যিপনা শুরু হয়েছে। কিন্তু পুজোর উদ্যোক্তা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে একজন রামভক্ত।
তাই এই পুজা করছেন তিনি। তাতে রাজনৈতিক কোনো মারপ্যাচ নেই। আসলে রামমন্দির তৈরিতে রাজনৈতিক দলে যেমন কোন্দল হচ্ছে তেমনি ধর্ম নিরপেক্ষতার মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেকে। তাই তো আজ মোদীর ধর্মান্ধতার উর্ধে গিয়ে সাম্প্রদায়িক মিছিল ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তার দলই বিজেপির মতো হিন্দুত্বে বিশ্বাসী হয়ে রাম পুজো কোর্টে লাগলেন, তাই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরের কথায়, আগে দেশ, তার পর ধর্ম এবং তার পর রাজনীতি। এদিকে দিনচারেক আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতায় ‘সংহতি’ মিছিলের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে আজ।
পাল্টা, ২২ জানুয়ারি ‘সংহতি’ মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুজোর দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সবকিছু উর্ধে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে আজ সংহতি মিছিল সম্পন্ন হয়েছে।