মহানগর ডেস্ক : দীর্ঘ লড়াই, আদালতে এবং রাজপথে, তাও যেন নিস্পত্তি হল না। এসএসসি মামলার রায়দানের পর আবেগে, অভিমানে, যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন এসএসসির যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা কেউ বলছেন, “আমাদের তো আটটা বছর জীবন থেকে চলে গেল। আর কত দিন অপেক্ষা করে থাকব? আমাদের অসহায়তার কথা কাকে বোঝাব? আমরা বাঁচতে চাই।”
পাঠকদের মনে থাকবে, চাকরির দাবিতে প্রতিবাদের ১০০০ দিনে মাথা ন্যাড়া করে কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন রাসমণি পাত্র নামের এক চাকরির দাবিতে আন্দোলন করা প্রতিবাদী। সোমবার হাই কোর্টের রায় শুনে তিনি খুশি, তবে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে প্রশ্নটা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছেই। রাসমণি পাত্র বলেন, “আদালতের কাছে একটাই আবেদন, নবম থেকে দ্বাদশ আমরা যারা যোগ্য, তাঁরা যেন চাকরিটা পাই। সরকারকেও একই আবেদন করব।” প্রসঙ্গত রাসমণি পাত্রকে মাথার চুল কেটে ফেলতে দেখে প্রতিবাদ মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকাকীন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে সোমবার রায় প্রকাশের পর কুণাল ঘোষ রাসমণি পাত্রদের কাছে যাননি।
এদিন রাসমণির মতোই আর এক চাকরি প্রার্থী বলেন, পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আট বছর তো যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জীবন থেকে চলে গেল। ২০১৬ সালের প্যানেল, এখন ২০২৪। এরপর আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে গোটা বিষয়টা। প্যানেল বাতিল মানে তো যোগ্যরাও আদালতে যাবে। তাঁরা তো বসে থাকবেন না। এ নিয়ে আবার মামলা হবে। ফলে যোগ্যরা তো বঞ্চিতই থেকে গেল। চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ বলছেন আমরা একদিকে সরকার দ্বারা বঞ্চিত, আরেকদিকে বিচারব্যবস্থার দ্বারাও বঞ্চিত।”
তবে বেশিরভাগ চাকরি প্রার্থীর বক্তব্য, যোগ্য প্রার্থীদের আজ যে পরিস্থিতিতে পড়তে হল তার দায় রাজ্য সরকারের। কেন শিক্ষা দফতর বেআইনি ভাবে চাকরি দিয়েছে?