মহনগর ডেস্ক : টোটো-অটোর দৌরাত্ম্যে বেলাগাম পরিস্থিতি! প্রবল দূষণের কবলে বিশ্বভারতী। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা হারানোর আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে সম্প্রতি জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছে আশ্রমিক সঙ্ঘ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,হেরিটেজ সাইট এলাকায় শান্তিনিকেতন ক্লাব মোড়ের কাছে হাইট বার আছে। অনেক গাড়ি এটা জানে না। এমনকী, পণ্যবাহী ভাড়া গাড়ি তা মানেও না। তাই জেলা প্রশাসনকে হেরিটেজ সাইটে নোটিস লাগিয়ে সতর্ক করতে বলা হয়েছে।যান নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি, কোনও কোনও জায়গায় রুট ডাইভার্সন করতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রাণকেন্দ্র উপাসনাগৃহ থেকে ছাতিমতলা-রবীন্দ্র ভবনের সামনে টোটো-চার চাকা গাড়ির দৌরাত্ম্যে বাড়ছে উদ্বেগ। আশ্রমের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই তিন কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে পূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই রাস্তার দু’দিকে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভবন, স্থাপত্য-ভাস্কর্য৷ এই রাস্তাটি তৎকালীন উপাচার্য স্বপন দত্তের আবেদনের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছালে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা সফরে এসে রাস্তাটি ফিরিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী।তার পরে এই রাস্তায় একাধিক টোটো ও গাড়ির স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
এদিকে দূষণে জর্জরিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা প্রাপ্ত বিশ্বভারতী। ঐতিহ্যকে বাঁচয়ে রাখতে এর আগে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করে বিশ্বভারতী। কিন্তু তখন চরম আপত্তি তুলেছিল আশ্রমিক সঙ্ঘ। এবার হেরিটেজ রক্ষায় বীরভূমের জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ সমেত একাধিক দাবি জানিয়েছে তারা। এই দাবির ফলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পূর্বের দাবিতেই কার্যত সিলমোহর দিল দুই প্রতিষ্ঠান।উল্লেখ্য, এহেন পরিস্থিতির জন্য শান্তিনিকেতন থানা ও বোলপুর পুরসভার উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে সম্প্রতি বীরভূমের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে চিঠি দেয় শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক সঙ্ঘ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। শতাব্দী প্রাচীন দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে রাস্তা ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।