Home Bengal সন্দেশখালিতে আরএসএস ঘাঁটি আছে, শাহজাহানকে “টার্গেট” করে এসেছিল ইডি, বিধানসভায় বললেন মমতা

সন্দেশখালিতে আরএসএস ঘাঁটি আছে, শাহজাহানকে “টার্গেট” করে এসেছিল ইডি, বিধানসভায় বললেন মমতা

by Mahanagar Desk
26 views
mamata Banerjee

সন্দেশখালিতে আরএসএসের ঘাঁটি আছে, বিধানসভা থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে এত গোলমালের নেপথ্যে রয়েছে ইডি। তারাই শাহজাহানকে ‘টার্গেট’ করে সন্দেশখালিতে ঢুকেছে এবং গোলমাল বাঁধিয়েছে। তবে কেন শেখ শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না বা শেখ শাহজাহান কোথায় বা কবে তাকে ধরা হবে এই নিয়ে একটি শব্দও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় উচ্চারণ করেননি।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে শুভেন্দু অধিকারী বলেব, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন সব মিথ্যা। আরএসএস ঠিক পথে আছে বলেই ওনার রাগ।”

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে ‘টার্গেট’ করে ইডি ঢুকল। সেই নিয়ে গোলমাল করে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের মধ্যে ঝামেলা লাগানো হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মহিলা ও শিশুদের ক্ষমতায়ন দরকার। তাই এবার চাইল্ড বাজেট করা হয়েছে, ১৭.৫৭% ব্যয় এই কারণে বরাদ্দ করা হয়েছে।”
জেন্ডার বাজেটে আমরা ৪৪ শতাংশের বেশি বরাদ্দ করেছি কেন্দ্র এই খাতে ৬ শতাংশের চাইতে সামান্য বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে। ওরাই আবার বলছে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও।

দেশের তুলনায় বাংলার বেকার সংখ্যা শতকরা হিসাবে কম বলেও মমতা এদিন বিধানসভায় দাবি করেন। বলেন দেউচা পাচামী কয়লা ব্লকে প্রচুর মানুষের কাজ হবে। বানতলায় ২ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ কাজ পেয়েছে, আরও পাবে। ২৮০০ আইটি কোম্পানিতে ২ লক্ষের বেশি ছেলে মেয়ে কাজ করছে। এমএসএমই-র ৬০২টি ক্লাস্টার হয়েছে। যাঁরা ন্যাকামো করে বেঁকিয়ে কথা বলে তাঁদের এসব দেখা উচিত। দয়া করে বলবো, যাঁরা শকুনি মামারা আছেন, চাকরি আটকাবেন না। আপনাদের ঘরেও ছেলেমেয়ে আছে। এরা চায় না কর্মসংস্থান হোক।”
১০০ দিনের কাজ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “৫৭.৬০% থেকে দারিদ্রসীমা কমে ৮শতাংশ হয়েছে। কি কমরেড, সিপিএম চোখে পড়ে না? সারাক্ষণ চিতার আগুন জ্বালিয়ে যাচ্ছে।”
“ওরা এখন ইডির সোর্স”, বলে মিডিয়াকে সমালোচনা করে মমতা বলেন, “একটা খবর ভালো করে দেখায় না। বাজেটটাও ভালো করে দেখায় না। বিজেপিকে বেশি সময় দেয়। তারপর কংগ্রেস, সিপিএম শেষে শাসকদলকে জায়গা দিচ্ছে। আরে শাসককে ৫০% বিরেধীদের ৫০% সময় দাও!”

এখানে একটা ঘটনা ঘটলে সকাল, বিকেল, দুপুরে ছবি তোলার জন্য মরিয়া কয়েকটা শকুনি মামাদের। তারা চায় যাতে আমাদের কথাগুলো যাতে মানুষের কানে না পৌঁছয়, এমনটাই বিধানসভায় দাবি করেন মমতা। কেন্দ্রের বাজেটকে এরপর তীব্র সমালোচনা করে মমতা বলেন, “কেন্দ্র মানুষের কথা বাজেটে না ভেবে মন কি বাত নিয়ে ব্যস্ত। তপশিলি উন্নয়নের ৪০% খরচ করতে পারেনি। আয়ূস্মান ভারতের ২৯.৪% খরচ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের ৭০০ কোটি নারীর উন্নয়নের কথা বলেও ৭৩.৫% টাকা খরচ করতে পারেনি কেন্দ্র। আমার জানতে ইচ্ছে করে, এই টাকা খরচ করতে পারেননি না কি আপনারা নারী বিদ্বেষী?”

“বিজেপি দাঙ্গার বীজনবপন করছে”, বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অভিযোগ করেন। “সংবিধানকে ভেঙে শেষ করে দিচ্ছে। আমরা ছোট্ট বেলা থেকে পড়ে আসছি, নানা ভাষা, নানা মত, ৩৩ কোটি দেবদেবী। অথচ রাজস্থান মধ্যপ্রদেশে এসেই ডিম, মাংস বাতিল করে দিল। টোপা কুলের মতো টোপ দিচ্ছে। যে বুলডোজার চালাচ্ছে, তা একদিন ওদেরই বুলডোজ করবে। গায়ের জোরে যা ইচ্ছে করবে? সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দেবে? আধার কার্ড বাতিল করবে, আমরা কি বলে টোপা কুল খাবো? তোমরা কিছু মানো না। তবে খুশি হতাম, বন্ধুরা আপনারা থাকলে। যে মিথ্যা বলেছেন তার উত্তর দিলাম। কালো পতাকা আমাদেরও আছে। আমরা সহ্য করছি বলে ভাববেন না আমাদের দুর্বলতা। কতক্ষণে প্রেস কর্ণারে যাবে। প্রেসগুলো হয়েছে তেমন। সবার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখে নেবেন। যারা কালো পতাকা নিয়ে ঘুরছেন তারা বুঝবেন কৃষকরা যখন কালো পতাকা নিয়ে দিল্লি দখল করবে।”

কেন্দ্রের সরকার কালা সরকার। পরিকল্পনা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। এদের যারা সাথ দিচ্ছেন তাদের বলি সমাজের কথা ভেবে এসব করবেন। পুলিশকে মারছেন? বিপদে পড়লে তো সেই পুলিশকেই ডাকেন। আমি মনে করি কড়া পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। অনেক সহ্য করেছি। সব কিছুর একটা সীমা, লক্ষণরেখা দরকার। তাই বলছি রাবনের সরকার, আর নেই দরকার।”

You may also like