মহানগর ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই এমন কিছু খবর সামনে আসে যা রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সম্প্রতি এমন একটি খবর সামনে এসেছে যা রীতিমত ভাবার। মাত্র তিন ছাত্রীকে নিয়ে হয় ক্লাস, শিক্ষিকা মাত্র ২ জন। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন । এমনটাই হয়ে আসছে এক দশকের বেশী সময় ধরে। আসে না কোনও ছাত্রী। বসে থেকে থেকে ফিরে যান শিক্ষিকারা।
পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের রাঘবপুর অঞ্চলের নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। মাত্র ৩ জন ছাত্রী কিন্তু তাও সকলের দেখা মেলে না রোজ তাদের নিয়ে চলে স্কুল, তাও আবার এই ৩ ছাত্রীর বেশির ভাগ দিনই দেখা মেলেনা । নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় ২০১২ সালে তৈরি হয়। সেই সময় ২৫ জন ছাত্রী এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে নিয়ে চালু হয়েছিল পঠনপাঠন । সময় গেলে ছাত্রী বৃদ্ধির বদলে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৩। তাও আবার রোজ কেউ আসে না। শিক্ষিকারা সময়ে স্কুলে আসেন বসে বসে ময় শেষ হলে তাঁরা বাড়ি চলে যান । এত কিছুর পরেও জেলা শিক্ষা দপ্তরের নেই কোনও হুঁশ। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল যদি এমন হয় তাহলে শিশু রা বা ছাত্র ছাত্রী রা শিখবে কি? এই প্রশ্নই এখন সকলের মনে।
জানা গিয়েছে, নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ কিমির মধ্যে রয়েছে তিনটি উচ্চ বিদ্যালয় । যেখানে পরিকাঠামো ভালো এবং পর্যাপ্ত শিক্ষিক শিক্ষিকা রয়েছেন। এই কারনেই অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের ভালো পড়াশোনার জন্য সেখানেই ভর্তি করান। নডিহা জুনিয়ার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। তাই আবারও আলাদা করে অন্য স্কুলে ভর্তি করার ঝামেলা তাই তাই অভিভাবকরা একেবারেই উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রীদের ভর্তি করান ।