মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালির “বাঘ” শেখ শাহজাহানের অনুচর সন্দেশখালিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আমির গাজিকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। বসিরহাট থানার পুলিশ ভিনরাজ্য থেকে আমির গাজিকে গ্রেফতার করেছে। শাহাজাহানের পাশাপাশি তাঁকেও বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আমিরেট পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
আমির গাজি সন্দেশখালির বাসিন্দা। সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত আর শেখ শাহজাহানের আর এক সাগরেদ উত্তম সর্দারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত আমির। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচার, জমি জবরদখল, মারধর, হুমকি দেওয়া এবং ধর্ষণের চেষ্টার মতো অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকে আমিরকে বসিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহাজাহানের মতোই আমির গাজিকেও অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে পুলিশ জানতে পারে, আমির ভিনরাজ্যে রয়েছে। রাতেই বসিরহাট থানা থেকে এক দল পুলিশ রৌরকেল্লা পৌঁছয়। সেখান থেকে আমিরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার রাতেই পুলিশ তৎপর হয়ে আমির গাজিকে গ্রেফতার করে।
৫৫ দিন অধরা থাকার পর বুধবার, ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার। শাহজাহানের মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডির হাতে। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই সংক্রান্ত তদন্ত করবে। আপাতত তাঁকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাকে। আগামী ১০ দিন সেখানেই সিআইডির গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন তিনি। গ্রেফতারির পরেই তৃণমূল সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছে, শাহজাহানকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। আগামী ছয় বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড শাহজাহান। তবে যে ভাবে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে পুলিশ জাপটে ধরে থানায় ও আদালতে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল সেই অবস্থা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি, তাকে আদালতে পেশ করা কোনও সময়ই দেখা গেল না। শেখ শাহজাহানের শরীরি ভাষা দেখে মনে হচ্ছিল সত্যিই সে সন্দেশখালির “বাঘ”, আর পুলিশ? শরীরি ভাষায় রীতিমতো বুঝিয়ে দিচ্ছিল তারা কত অসহায়।