মহানগর ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছর ধরেই সহবাস বন্ধনে আবদ্ধ আছেন বৈশাখী-শোভন।(shovon Chatterjee)শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী(Baishaki Bandyopadhyay) বন্দোপাধ্যায়ের প্রেমের গল্প জানে গোটা বাংলা। জুটিও কোনোদিন গোপন করেননি কিছুই। শুরু থেকেই ভীষণ খোলামেলা তাঁদের সাংসারিক জীবন। বয়স যে শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। সেটা তাদের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। মুক্তবিহঙ্গের মতো মহানগরের রাস্তায় প্রেমের ঘুড়ি ওড়ানো তাদেরই কাজ। কখনো প্রেম দিবস বা দুর্গাপুজো থেকে সরস্বতী ম্যাচিং পাঞ্জাবির সাথে শাড়ি মাস্ট থাকবে বৈশাখীর আলমারিতে। ছোট্ট মেহুলকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। নিন্দুকের চোখ রাঙানি বা কটূক্তি কোনো কিছুই ছুঁতে পারে না তাদের।
তবে বৈশাখীর জীবনে দাম্পত্যের কাহিনী মোটেও সুখকর ছিল না। শোভন জীবনে আসার আগে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন মনোজিৎ মন্ডলের সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্কের রূপরেখা মোটেও সমান্তরাল ছিল না। লেগে থাকতো নিত্য অশান্তি। বৈশাখীর প্রাক্তন স্বামী তাঁর গায়ে হাত তুলতেন। সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। মতবিরোধ, অশান্তি এসব দেখেছে ছোট্ট মেহুল। বৈশাখী জানান তিনি বাধ্য হন এই কাজ করতে। অধ্যাপিকা ওইদিন বেরিয়ে আসেন। ২০২২ এ শেষ হয় মনোজিৎ এর সঙ্গে দাম্পত্য জীবন। আলিপুর আদালত তাদের আইনত বিচ্ছেদে সিলমোহর দেন। তবে তিনি কখনো আফসোস করেননি।
অধ্যাপিকা জানান, জীবনে ভালোবাসাটা যথেষ্ট নয়। আমি হয়তো ওর মনের মতো ছিলাম না। তবে আমি যাকে ভালোবাসলাম, সে আমাকে ভালোবাসলো না। এটা কোনো মেয়ের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমি ভাবতাম আমার মধ্যে কি নেই যে সে আমাকে ভালোবাসলো না। প্রাক্তন সম্পর্কে আরো বলেন বৈশাখী। মনজিৎ কে সুখী করার জন্য এমন কিছু প্রচেষ্টা নেই যে আমি করিনি। কোন মেয়ের কি ভালো লাগবে বিছানায় যেতে, মার খাওয়ার পর? মনজিৎ এর তরফ থেকে জবাবে এসেছিল- “তোর শরীরটাকে ভালবেসে ছিলাম”। এরপর বৈশাখী বলেন, এত সম্পর্ক ব্যর্থ। কত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল রয়েছে ঘরের চার দেওয়ালে। আমরা তা জানি না। আত্মবিশ্লেষণ না করেই আমরা অন্যদের নিয়ে ব্যস্ত।” আমি নারী হিসেবে ব্যর্থ স্ত্রী হিসেবেও ব্যর্থ” আমি চাইবো না বৈশাখীর মত করুন পরিস্থিতি আর কারোর না হয়।