মহানগর ডেস্ক: ২০২৪ সালেই ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা।আসন্ন এক পূর্ণিমায় বদলে যাবে চাঁদের রূপ!পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে উঠবে স্ট্রবেরি মুন। সারা বছরই চাঁদের বিভিন্ন সব রূপ দেখতে আগ্রহী থাকে পৃথিবীবাসী। এক এক মাসে চাঁদের এক এক নাম রয়েছে। যেমন- জানুয়ারি মাসে উলফ মুন, ফেব্রুয়ারিতে স্লো মুন, মার্চ মাসে ওর্ম মুন, এপ্রিলে পিংক মুন, আবার সেপ্টেম্বরে হারভেস্ট মুন, অক্টোবরে হান্টারস মুন, নভেম্বরে বিভার মুন, ডিসেম্বরে কোল্ড মুন। এছাড়াও সুপার মুন, ব্লাড মুন, ব্লু মুন, এই সকল নামেও ডাকা হয় চাঁদকে। আর এবছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কারণ কারণ এ বছর যেমন আকাশে উল্কাপাত, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, তেমনই দেখা যাবে চাঁদের এক বিরল রূপের, যার নাম স্ট্রবেরি মুন।
সাধারণত জুন মাসে পূর্ণিমার চাঁদকে স্ট্রবেরি মুন বলা হয়। আর এবছর আগামী ২১ শে জুন, এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যাবে। গ্রীষ্মের এই দিনেই প্রথম ‘ফুল মুন’ বা পূর্ণিমা হবে। আর এই দিনই পূর্ণ আকার-আয়তনে পৌঁছবে চাঁদ। তবে এবারের ফুল মুনকে কিন্তু সুপারমুন বলা হবে না। যদিও সাধারণ দিনে চাঁদের যে আয়তন থাকে, ২১ জুন তার থেকে কিছুটা বড়ই লাগবে চাঁদকে। বসন্তের শেষ ফুল মুন কিংবা পূর্ণিমা এবং সামার সিজনের প্রথম পূর্ণিমায় এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যায়।
তবে জানেন কি, কেন এই চাঁদের নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’? এই স্ট্রবেরি মুন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন প্রাচীন আমেরিকান উপজাতির মানুষরা। স্ট্রবেরি চাষের মরশুমের শুরুতে প্রথমবার এই চাঁদ দেখেছিলেন আমেরিকার ওই প্রাচীন উপজাতির মানুষরা।তার পর থেকেই এই চাঁদকে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। অন্যান্য অনেক দেশে জুন মাসের এই ফুল মুনের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন- ইউরোপে এই চাঁদকে বলা হয় রোস মুন। কারণ এই সময় থেকে ইউরোপে গোলাপের চাষ শুরু হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এই চাঁদের নাম ‘হট মুন’। কারণ এই সময় থেকে গরম কাল শুরু হয় উত্তর গোলার্ধে। তাই এই বিরল দৃশ্য দেখতে ভুলবেন না যেন।