Home Bengal দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঙ্কার সুকান্তর

দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঙ্কার সুকান্তর

by Mahanagar Desk
9 views

মহানগর ডেস্ক, নয়া দিল্লি: আগামিকাল দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ১০০ দিনের বকেয়া অর্থ আদায়ের দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দিল্লিতে। তাঁর নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু তৃণমূলের এই কর্মসূচির পাল্টা জবাবে সোমবার দিল্লি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করবে রাজ্য বিজেপি। যেখানে উপস্থিত থাকবেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার একাধিক মন্তব্য করেছেন, তাঁর কথায়, “গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এনআরইজিএ, পিএমএওয়াই-তে দুর্নীতি হয়েছে। মাটির কাজে স্ক্রুটিনি থেকে বাঁচতে বড় কাজকে ছোট ছোট স্তরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যার কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অনেক টাকা আদায় করা হয়েছে। আমাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ আছে। জেসিবি দিয়ে কাজ করিয়ে ভুয়ো তথ্য পেশ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। কারোর অ্যাকাউন্টে ১ টাকা, আবার কারোর অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা পাঠানো হয়েছে। জমির মাপ না করে, কাজের মান না দেখেই টাকা দেওয়া হয়েছে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “বর্ধমান, হুগলিতে অনিয়মিত কাজের প্রমাণ মেলার পর টাকাগুলি উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার সহযোগিতার আবেদন জানানোর পরেও এটিআর দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় দল যা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। রাজ্য সরকারের কাছে যে ইস্যু তোলা হয়েছিল তার উত্তর দেয়নি। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কেন্দ্রের রিপোর্টে ১৫টি পয়েন্ট তোলা হয়েছিল। একটারও জবাব দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের রিপোর্টে ১৫টি পয়েন্ট তোলা হয়েছিল। একটারও জবাব দেওয়া হয়নি। ইউপিএ জমানায় এমজিএনআরইজিএ-তে ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে এনডিএ সরকার ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তোমাদের দায়িত্ব ব্যবস্থা নেওয়ার। নিজেরা স্বীকার করছে চুরি হয়েছে। এখন বলছে, চোর ধরব না।”

অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ”আমি তো তাজ্জব হচ্ছি যে বাংলায় এতকিছু হচ্ছে। বাংলার মহিলার প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছে। রাজ্যে চাকরি নেই। তদের জন্য তো কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে না। এত লোক এনে দিল্লিতে এসে সার্কাস করছে। দিল্লিতে এনে কী হবে?”

You may also like