মহানগর ডেস্ক: বন্ধ দরজার পিছনে নাকি লুকিয়ে বেগম মুমতাজ-এর অভিশাপ! কোন গোপন কারণে এই দরজা খোলার সাহস দেখায়নি কেউই?
জানতে দেখুন এই প্রতিবেদন
মোঘল সম্রাট শাহজাহান প্রিয় বেগম ছিলেন বেগম মুমতাজ মহল। কিন্তু সম্রাটের প্রিয় মুমতাজের আচমকা মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন তিনি। তারপর প্রিয় মানুষটির স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজের প্রেমের স্মারক হিসেবে তাজমহল তৈরি করেন শাহজাহান। আগ্রা শহরের রি সৌধ আজ তা ইতিহাসের পাতায় লেখা। আজও পৃথিবীর আশ্চর্যতম স্থাপত্যের তালিকায় তাজমহলের নাম সোনার অক্ষরে লেখা।
মার্বেল পাথরের তৈরি বিশালাকার এই তাজমহলে মোট দরজা রয়েছে ১০৮৯ টি। যার মধ্যে বেশকিছু দরজা আজও খুলে দেখা হয়নি। কেউ জানেনা ওই বন্ধ দরজার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এত সময়কাল পরেও অজানা হয়েই রয়ে গেছে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এই অন্দরমহল। তবে এই নিয়ে যে এর আগে প্রশ্ন ওঠেনি তা নয়। গবেষণাও হয়েছে বিস্তর। সেই থেকেই এই রহস্যময় বন্ধ দরজাগুলি নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। কারও মতে ওই দরজাগুলি খুললে তার ভেতরে জমে থাকা কার্বন মনোঅক্সাইড মার্বেলের সংস্পর্শে এসে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে পরিণত হবে, যার ফলে তাজের বিখ্যাত চারটি মিনার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যদিও ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি বাইরে থেকে।
আবার অনেকের মতে ওই বন্ধ দরজার কোনও একটির পেছনে মুমতাজকে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং মৃত্যুর সময় তিনি যে অবস্থাতে ছিলেন আজও সেই অবস্থাতেই রয়েছেন। আর এই তাজমহল তৈরিতে শ্রমিকদের প্রতি সম্রাটের নির্দয় মনোভাবের জন্য নস্কি ক্ষুব্ধ তিনি। তাই দরজা খুললেই নাকি নেমে আসবে তার ভয়ঙ্কর অভিশাপ। সেই কারণেই খোলা হয় না দরজাগুলি। যদিও এই যুক্তির ভিত্তিতেও কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবুও সম্ভাবনা ও গবেষণার মাঝেই আজও বন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে তাজমহলের এই রহস্যময় বন্ধ দরজা। কবে খুলবে? কেউ জানেনা!