মহানগর ডেস্ক : দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হওয়ার পরদিনই সুপ্টিম কোর্টে মামলা দায়ের করল মুসলিম লিগ ,ডিওয়াইএফআই। প্রধান বিচারপতির এজলাসে যাতে এই মামলার শুনানি হয়, আবেদনকারীরা সেই আবেদনও জানিয়েছেন।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার বিকেল থেকেই দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ। মঙ্গলবার থেকে চালু হয়ে গিয়েছে সিএএ পোর্টাল। সেই পোর্টাল থেকেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। এদিকে মুসলিম লিগ শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে সিএএ কার্যকরের নির্দেশে যেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়েছে, এই নাগরিকত্ব আইন অসাংবিধানিক।
এদিকে সিএএ কার্যকর হওয়ার পরই দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “প্রাণ থাকতে কারও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। কেউ সিএএ-র জন্য আবেদন করবেন না, তাহলেই সব অধিকার চলে যাবে, আপনি আর নাগরিক থাকবেন না।”
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “সিএএ ভাঁওতা, সেটা জানেন বলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিএএ নিয়ে কিছু বলছেন না, সবটাই বলাচ্ছেন অমিত শাহকে নিয়ে।”
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “তুষ্টি করণের রাজনীতির জন্য কংগ্রেস এখন সিএএ-র বিরোধীতা করছে। কেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেস সরকার উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেয়নি? নরেন্দ্র মোদী এই মানুষগুলোর নাগরিকত্ব দিলেন।”
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, “ইলেক্টোরাল বন্ডের বিষয় বিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ককে আজই তথ্য জমা দিতে বলেছে। এই বিষয়টি থেকে নজর ঘোরাতে বিজেপি ভোটের মুখে সিএএ-র প্রসঙ্গটিকে সামনে এনেছে। এর পুরোটাই বিজেপির রাজনৈতিক চাল।”