মহানগর ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেরিয়া রেশন দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে শোরগোল। শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা চক্রান্ত করে তল্লাশির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।ইডির আধিকারিকরা হলেন আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনওক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে এলাকা ছাড়লেন।
শেখ শাহাজাহান সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শাহাজাহান এলাকায় যথেষ্ঠ প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত।ইডি আধিকারিকরা এদিন শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশির জন্য সরবেরিয়া পৌঁছতেই নেতার অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূলের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের বিক্ষোভ দেখানোর কারণ,’কেন না জানিয়ে আচমকা হানা দিল ইডি?’ ইডির তরফে অভিযোগ,তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির আধিকারিকদের মারধর শুরু করে। একজনের মাথা ফাটে। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এর পর ইডি আধিকারিকদের রীতিমতো ধাওয়া করে এলাকা ছাড়া করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাইক, অটো, হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাতে চেপেই ছাড়েন এলাকা।উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় ইডি এলাকা ছাড়ার পর। বিশাল বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। এই প্রসঙ্গে ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি যে তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি তল্লাশি চালানো।
প্রসঙ্গত,কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের কর্তারা সকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতাদের শ্বশুর বাড়িতে। প্রথমে ইডির অফিসাররা যায় বিনয় ঘোষের বাড়ি। সেখান থেকেই খোঁজ পায় জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ নেতা তথা বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর । তার খোঁজে নেমেই ইডি পৌঁছে যায় শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুর বাড়ি। এরা ছাড়াও এদিন সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহান শেখের বাড়িতে যায় ইডি। তবে তালাবন্ধ ছিল সেই বাড়ি।অনেক ক্ষণ ডাকাডাকির করেও সাড়া না মেলায়, বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করেন আধিকারিকরা। চারিদিক থেকে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরেই ঘটে এই দুঃসাহসিক ঘটনা।