মহানগর ডেস্ক : ছেলেবেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে উৎকন্ঠার শেষ নেই অভীক দাসের। এবার সেই পথে নিজেকে আরও একটু এগিয়ে দিলেন অভীক দাস। হ্যাঁ, সত্যিই তাই। গত ২০২২ এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছিলেন অভীক দাস।
অভীক জানালেন তাঁর উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার রহস্য। অভীক বললোন, “আমি পড়েছি বুঝে,বুঝে, মুখস্ত করে নয়। টেক্সট বই পড়েছি একের বেশি। তবে শুধু পড়লেই হবে না। মক টেস্টে বসতে হবে। আমার পছন্দের বিষয় মহাকাশ। বিশ্বব্রহ্মান্ড নিয়ে আমার জানার খুব ইচ্ছা ছোট বয়স থেকেই। তাই আমি অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়তে চাই। তবে আমি লেখাপড়া নিয়ে কখনও এখনই করে ফেলতে হবে, এই ধারণা বিশ্বাস করিনি, করিনা। আমি ঘড়ি ধরে পড়েছি এমনটা নয়। যখন মনে হয়েছে তখন পড়েছি। সারাদিন ধরে পড়াশোনা করেছি এমনটাও হয়েছে। পড়াশোনা করাটাই আমার হ্যাবিট। ৬টি বিষয়ে আলাদা করে ৬ জন গৃহশিক্ষক আমার ছিল।”
মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল অভীক।আর উচ্চমাধ্যমিকে একেবারে প্রথম হওয়া অভীককে নিয়ে গর্বে বুকটা ভরে উঠেছে ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, আলিপুরদুয়ারের সদ্য অবসর নেওয়া প্রধান শিক্ষক সুধাংশু বিশ্বাসের। চলতি বছরের মার্চ মাসে সুধাংশুবাবু অবসর নিয়েছেন। তিনি জানালেন, “পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমার স্কুলে অভীক পড়ে। ও বরাবরই লেখাপড়ায় ভাালো। মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল। ও উচ্চমাধ্যমিকে উল্লেখযোগ্য ফল করবে সেই আশা আমার ওর উপর ছিল। স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে আমাদের স্কুলে প্রথমবার প্রথম হল অভীক। প্রথম ছাড়া অন্যান্য স্থান আগেও স্কুলের ছাত্ররা পেয়েছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করল অভীক।”
অভীকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ অর্থাৎ ৯৯.২%। অভীক ২০২২ সালে মাধ্যমিকে সারা রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন। মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯০।
অভীকের বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক, মা হোমমেকার। তাঁদের ছেলের সাফল্যে তাঁরা আজ গর্বিত। অভীক পড়াশুনার পাশাপাশি খেলার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী।
অভীকের বাবা প্রবীর দাস জানিয়েছেন, তার বাবা মাও জানিয়েছে, “সারাদিন পড়াশোনা করত অভীক। পড়াশোনায় কোনওদিন ফাঁকি দিত না অভীক। স্কুলের শিক্ষকরাও সবসময় সহায়তা করতেন। সেই সঙ্গেই গৃহশিক্ষকরা যে সমস্ত টাস্ক দিয়ে যেতেন, যেভাবে পড়তে বলতেন তা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে পালন করত অভীক। তার ফলই আজ সে পেয়েছে। পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতার কোনও বিকল্প নেই সেটা আবার প্রমাণ হল।”