মহানগর ডেস্ক: তৃণমূল আছে তৃণমূলেই! সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর দুই অনুচর শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের গুণাবলী এখন রাজ্যের সবার জানা। মহিলাদের সঙ্গে আদিম আচরণের অভিযোগ এই তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে করেছেন সন্দেশখালির মা,বোনেরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেই এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি ছোটেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের যাত্রাপথে মালঞ্চের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর দাবি তোলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্ষোভ করতে করতে রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে আনন্দ বোসের কনভয় থেমে যায়। মিনিট পাঁচেক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে তাঁর কনভয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাজ্যপাল মুক্তি পান। কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো এই মহিলারা তৃণমূলের কর্মী। এই ছবি দেখে রাজ্যের রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের আক্ষেপ, সন্দেশখালির ঘটনার পরেও মহিকারা তৃণমূলের সঙ্গে যাচ্ছেন! তবে রাজ্যপাল বিক্ষোভরত মহিলাদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যপালকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে তার পরেই রবিবার কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে বোসের সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজভবন। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। রাজ্যপাল সন্দেশখালিতে পৌঁছেছেন।