মহানগর ডেস্ক : গার্ডেনরিচকাণ্ডে কলকাতার মেয়র, বিধায়ক ও রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় কাউন্সিলরকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও এবার ভাইরাল হল সেই কাউন্সিলর সামস ইকবাল এবং ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারা সরব হয়েছেন।
এদিকে গার্ডেনরিচ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধ্বংস স্তুপের মধ্যে এখনও ৪/৫ জন আটকে থাকতে পারে বলে এনডিআরএফ-এর আশঙ্কা। ৪ ফুট একটি রাস্তায় ২২ বিঘা একটু পুকুর বুজিয়ে সামস ইকবালের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই ছ’তলা বাড়ি তৈরী হল, এলাকার মানুষ বলছেন তারা পুকুর বোজানোর সময় কাউন্সিলরকে অভিযোগ করেছে অথচ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন কাউন্সিলর কিছু জানেন না, প্রশাসন জানে!
এদিকে কলকাতার তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের শো-কজ করে কি হবে? তাঁরা খাতায় কলমে কাজ করেন, এলাকায় তাঁদের কি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়?”
প্রাক্তন মেয়রের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কাউন্সিলরই তাঁর এলাকার নির্মাণ সংক্রান্ত সব বিষয়ে খোঁ রাখেন, ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য সঠিক নয়।
এদিকে কলকাতা পুরসভা এই গার্ডেনরিচ পাহাড়পুর এলাকার ৬টি বহুতল চিহ্নিত করেছে, যে বাড়িগুলো হেলে পড়েছে। পুরসভার তরফে প্রমোটারদের বলা হয়েছে এই বাড়িগুলোর বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দিতে। তা না হলে পুরসভাই তা ভেঙে দেবে। কলকাতা পুরসভা এলাকার সবকটি ওয়ার্ডে অবৈধ নির্মাণ খুঁজে বার করতে এখন তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা।
এদিকে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, “কাউন্সিলর হলেন পঞ্চায়েতের মতো। এলাকায় একটা পুকুর বুজিয়ে বহুতল তৈরী হল অথচ কাউন্সিলর জানেন না? ফিরহাদ হাকিম যা বলছেন তা ঠিক নয়। প্রতিটি এলাকার সাধারণ মানুষ কি করছেন, কোথায় ফ্ল্যাট, বাড়ি তৈরী হচ্ছে সবটা কাউন্সিলর জানেন, আমি একজন কাউন্সিলর হয়ে এই কথা বলছি।”
এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি সব জানেন। কেন কাউন্সিলরকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে? ওদের গ্রেফতার করা উচিত।”