মহানগর ডেস্ক : বুধবার করিমপুরের জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন কেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, “এই নির্বাচন হচ্ছে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র দামেদর দাস মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। আপনারা সেটা করবেন। হৃদমাঝারে যাঁকে পেয়েছেন তাঁকে ছেড়ে দেবেন না, ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আরতো পাবেন না।” পাশাপাশি বলেন, “বহরমপুরে এবার বিজেপি প্রার্থী ডক্টর নির্মল চন্দ্র সাহার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেউ তাঁকে হারাতে পারবে না।”
এর পরই তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে কারা লড়ছে? তৃণমূল, যাদের এখন মানুষ চোর বলে, ওটা আসলে তোলামূল। নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যে ৭২ লক্ষ শৌচাগার দিয়েছেন, কিন্তু আপনারা কেউ পাননি, মানে তৃণমূল শৌচাগারটাও খায়, এতো নিকৃষ্ট প্রকৃতির চোর এরা, এসব কল্পনাও করতে পারবেন না।”
এরপর শুভেন্দু বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আর কে আছে? আছে, থাকবে হয়তো, সিপিআইএম। এই পার্টিটার এতো দুর্দশা গত বিধানসভার পরে এই পার্টিটার কোনও এমএলএ বিধানসভায় নেই। ত্রিপুরাতে পদর্টিটা উঠে গেছে। আর কেরালায় টিম-টিম করে জ্বলছে, একটা, দুটো, তিনটে সিট পাবে কি না তারও ঠিক নেই। সিপিএমের আবার বিচিত্র চরিত্র। অধিকাংশ পুরনো বামপন্থী আমাদের সঙ্গে চলে এসেছে। কেন এসেছেন? তাঁরা বুঝেছেন এই সিপিএমকে দিয়ে চোর তৃণমূলকে সরানো যাবে না। সরাতে যদি কেউ পারে সেটা বিজেপিই পারবে, তাই এরা অনেকে চলে এসেছেন। কিন্তু এরা এখনও নো ভোট টু বিজেপি, নো ভোট টু মোদী চালিয়েই যাচ্ছে। এদের ছোট ছোট নেতারা, মীনাক্ষী বোন, শতরূপ, সায়ন গলার শিরা ফুলিয়ে ফেলে চোর ধরো জেল ভরো, তৃণমূলকে তাড়াতে হবে, পিসি-ভাইপোর গ্রেফতার চাই ইত্যাদি ইত্যাদি স্লোগানে। কিন্তু এদের যাঁরা কাকা আর জ্যাঠা, মানে সীতারাম কাকা বা সীতারাম জ্যাঠা, এরা পাটনা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই,দিল্লিতে চোর ভাইপো আর ডাকাত পিসির সঙ্গে ইটিং, ফিটিং, সিটিং সব করে। আর এদের বলে যা জলঙ্গীতে মিছিল কর, দৌলতাবাদে মিছিল কর, রানীনগরে মিছিল কর, ইসলামপুরে মিছিল কর, লালবাগে মিছিল কর, ভগবানগোলায় মিছিল কর, করিমপুরে মিছিল কর। তাই এই পার্টি কোথায় চতুর্থ হবে না জামানত যাবে আমি জানি না। শুনছি মহম্মদ সেলিম সাহেব রায়গঞ্জে দাঁড়াবেন। ওখানে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলের হাত শক্ত করা।”কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড পার্টি বলে বিঁধে এদিন শুভেন্দু বলেন, “আমি আবেদন করব, এবার আপনারা মুর্শিদাবাদে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আনুন। এই জায়গায় তৃণমূল ছিল না। এই মাঠটা আমার হাতের তালুর মতো চেনা। এই এলাকায় তৃণমূলের জন্য করে ভুল করেছি আমি। তাই আমি আপনাদের বলতে পারি, গৌরীশঙ্কর ঘোষকে জেতালে এখানে নিকাশ, উন্নয়ন হবে।” শুভেন্দু অধিকারী এদিন একটা বিষয় স্পষ্ট করে দেন, তিনি মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জন্মদাতা, যে তৃণমূলকে এখন সেই মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়েই গালমন্দ করছেন।শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে বহরমপুরে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পরাজয় নিশ্চিত এবং বিজেপি প্রার্থী ডক্টর নির্মল চন্দ্র সাহার জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেও ভবিষ্যৎবাণী করেন।পাশাপাশি ইউসুফ পাঠানকে গুজরাট থেকে এনে বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী করায় তৃণমূল প্রার্থীকে বহিরাগত বলেন।