মহানগর ডেস্ক: ফের ঘটল একই ঘটনা।বাংলা ফসিলসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে মধ্যমগ্রামের পর এবার বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে দমদমেও। ইতিমধ্যেই সরগরম হয়েছে পরিস্থিতি ঘটনাকে ঘিরে। অনুষ্ঠানের প্রচারে ‘প্রবেশ অবাধ’ উল্লেখ করা হয়, আর তার জেরেই ব্যাপক ভিড় ও সেখান থেকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। নেটিজেনদের অনেকেই ‘প্রবেশ অবাধ’ কথাটি নিয়ে সরব হয়েছেন।ফের একবার ফসিলসের লিড সিঙ্গার রূপম ইসলাম এই পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঠিক কী বললেন তিনি?
রূপম ইসলাম সোশ্যাল সাইটে পোস্টে সাফ লেখেন, “আমি আমার গত পোস্টের নীচের মন্তব্যগুলো পড়েছি। কিছুজনের লেখা পড়ে মনে হয়েছে, ‘প্রবেশ অবাধ’ এটা লিখে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল তার জন্যই প্রচুর মানুষের দুর্ভোগ ঘটেছে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটি আমি দিইনি। এটি দিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক। আমি যেহেতু সেটিকে বিকৃত করতে পারব না, ‘প্রবেশ অবাধ’ বলা থাকলে ‘প্রবেশ অনবাধ লিখতে পারব না, তাই জন্যই ‘প্রবেশ অবাধ’ লেখা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল আর একটি কথা, ‘অনুষ্ঠানস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত,’ এইটি ছিল আমার সংযোজন। দেখা যাচ্ছে, এতে কাজ হয়নি। ফলে এবার আমায় এমন কিছু করতে হবে, যাতে কাজ হয়।”
রূপম ইসলাম পোস্টের এক জায়গায় রীতিমতো কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, তিনি এবার থেকে অনুষ্ঠানের পোস্টে ‘প্রবেশ অবাধ, তাই আসবেন না’ কথাটি লিখে দেবেন। পাশাপাশি,রূপম পোস্টে লেখেন, “এ মাসেই রানাঘাট এবং কল্যাণীতে টিকিট কেটে ফসিলস-এর অনুষ্ঠান দেখবার সুযোগ রয়েছে। সেইসব অনুষ্ঠানে আপনারা অবশ্যই টিকিট কেটে আসুন। অন্যকোনও শো-এর ব্যাপারে আমি এখনই জানি না যে টিকিট কাটবার ব্যবস্থা আছে কি না! আমার ‘পরিদর্শক টিম’ও নেই, তাই রাস্তা ঘাট বাস টার্মিনাসের খবর দিতেও পারছি না। অতএব, সেইগুলোতে যদি ভুলবশত বা অন্যায়বশত লেখা হয় ‘প্রবেশ অবাধ’, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই সেখানে নতুন একটি নির্দেশ অ্যাড করে দেব যে, ‘আসবেন না। চোট আঘাত লেগে যেতে পারে। অতএব, দূরত্ব বজায় রাখুন। বাড়িতে থাকুন, বা অন্য কোথাও যান। কিন্তু অমুক অঞ্চলে নৈব নৈব চ।’ এটা আমি করব।”