Home Bengal “দেব আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই, দেবীর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

“দেব আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই, দেবীর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

by Mahanagar Desk
102 views

মহানগর ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তত রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। একদিকে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। অপর দিকে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেই চলেছে।  যদিও লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায় চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতে ধরাশায়ী বিজেপি। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “যত ভোট এগোবে তত এমন রাজনৈতিক চমক আসতে থাকবে। তত্ত্ব এরকম অনেক খবর হবে। এটা নিউজ নয়।”

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভেবেছিল ঘাটাল থেকে প্রার্থী হবে না দেব। তাহলে আসনটি দখল করা যাবে। কিন্তু সেই জট কাটতেই বিজেপির পরিকল্পনা ভেস্তে  গিয়েছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘দের আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই। দেবকে নিয়ে এই চলছে। দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই দেবীর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে। মহিলার অত্যাচারিত। তারা রাটো লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করছে। দেবী ডগ ডে, চকোলেট ডে নিয়ে মেতে আছেন। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে করবেন। এরকম লোককে মানুষ কেন ভোট দেয়। মহিলাদের এই দুঃখের সময় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম দেবীদের ভোট দিলে এমনই হবে।’ এটা আসলে তিনি নিশানা করেছেন বসিরহাটের তৃনমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে। অন্যদিকে সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি নেতা এবং সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। হিংসাকে উসকানি দেওয়ার অপরাধে। নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতার নিয়ে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘এটার মধ্যে বিরোধীদের ভোট ভাগের রাজনীতি আছে। পুরো ইস্যুটা বিজেপি হাইজ্যাক করেছে। বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছে। এখন সেই ইস্যু ডাইভার্ট করার জন্য শাহাজাহানের চ্যালা গ্রেফতার হয়েছে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছে। ওদের পালে হাওয়া দিয়ে বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা চলছে। যাতে জনরোষের ফায়দা কোনও একদিকে না যায়। নুসরত জাহানকে দরকার ছিল এলাকায়। তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। শাহাজাহান নেই।”

 অন্যদিকে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন। রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে লম্বা ভাষণ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “উনি সেনসিটিভ মানুষ। উনি জানেন এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আগের রাজ্যপাল গেলে তাঁকে গো-ব্যাক বলে কালো পতাকা দেখানো হতো। জানি না আজ যেতে দেওয়া হবে কিনা। কালো পতাকা দেখানো হবে কিনা। যারা ৫০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের ইজ্জত কিনে নিয়েছে তারা সব কিছু করতে পারে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলাদের এই দুর্দশা বাঙালি ভাবতে পারেনি। তৃণমূল কোনও দল নয়। এটি বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বয়। তার বহিঃপ্রকাশ মাঝে মাঝে দেখা যায়। নিচ থেকে উপর ঘা বেরিয়ে যাচ্ছে।”

You may also like