মহানগর ডেস্কঃ একদিকে যখন সন্দেশখালির উত্তাপে সড়গড়ম রাজ্য-রাজনীতি, তখনই চোপড়া কান্ড নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরকে। তাঁদের দাবি সন্দেশখালি গেলে, চোপড়া নয় কেন? এই মর্মেই রাজ্যপালের কাছে দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতৃ্ত্বেরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নিয়ে রাজভবনে ডেপুটেশন জমা করার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য নয় নেতা-নেত্রী।
বৃহস্পতিবার ডেপুটেন জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমুলের প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা বলেন, “যে মর্মান্তিক ঘটনা চোপড়ায় ঘটেছে তা হৃদয় বিদারক। রাজ্যপালকে আমাদের অনুরোধ, একবার আপনি যান। কথা বলুন। বিএসএফ এই কনস্ট্রাকশন বেআইনি ভাবে করছিল।”
সেই সঙ্গেই সন্দেশখালি নিয়েও সড়ব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বদের। তাঁদের বক্তব্য “আমরা দেখেছি আপনি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। আপনি একবার আসুন চোপড়ায়।” এদিন অবশ্য তাঁদের এই আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তিনি জানিয়েছেন, তিনি কথা দিচ্ছেন, তিনি যাবেন চোপড়ায়।
এই বিষয় নিয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “আমরা দেখব তিনি কবে যাবেন। আমরা বলেছি সন্দেশ খালিতে একতরফা রিপোর্ট এসেছে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে থেকে রিপোর্ট নিন। যদি কিছু ঘটে থাকে দল দেখবে।
চোপড়ার ঘটনা নিয়ে এদিন ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপির দুর্বৃত্তরা রাজ্য জুড়ে নানা রকম কাণ্ড করছেন। এটা যেন তৃণমূল পরিষদীয় দল মাঝে মাঝে অবহিত করেন।” অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে বলেছি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন সেটি ভিত্তিহীন রিপোর্টের উপর দাঁড়িয়ে। রাজ্যপাল বলেছেন রাজ্য সরকারের কাছেই এ বিষয়ে রিপোর্ট চাইবেন তিনি।” অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “লাগাতার নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠত নিরাপদ সর্দার, বিকাশ সিংদের। এত দিন ধরে বলল না কেন? সাজিয়ে আনছে, মিথ্যে কথা বলাচ্ছে।”