মহানগর ডেস্ক : ভোট প্রচারে গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদেরই হুমকি দিয়ে বসলেন বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজাতা মন্ডল। তিনি মঙ্গলবার ওন্দা ব্লকের নতুনগ্রাম বাজার এবং গ্রামে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন।আর ভোট প্রচারের ফাঁকেই এক মহিলা ভোটারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন “শোন বলি,বলি,বলি মাসি,তোমরা ভোট দেওয়ার সময় বড়ো ফুলে দিচ্ছ,আর চাওয়ার বেলায় ছোটো ফুলের কাছে চাইতে আসছ,এবার আমি একেবারে ক্লিয়ার কাট বলছি তাতে মিডিয়া থাক,যে আছে থাক,আই ডোন্ট কেয়ার,এখানে যদি তৃণমূল লিড না পায় তাহলে তৃণমূলের কেউ তোমাদের অভিযোগ শুনতে আসবে না। <span;>তোমরা বিজেপির সাথে বুঝে নেবে।” সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদে নাগরিকের ভোটদানের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। প্রশ্ন হচ্ছে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল কি এভাবে ভোটারদের হুমকি দিতে পারেন?
শুধু এই বলেই সুজাতা মণ্ডল থেমে থাকেননি। তিনি দলের স্থানীয় নেতা ও বুথ কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেন দিয়ে বলেন, “কোন, কোন বুথে বিজেপি লিড পাচ্ছে আর কোন কোন বুথে তৃণমূল লিড পাচ্ছে তা লিখে রাখবেন।ভোটের পর যে অঞ্চলে তৃণমূল লিড পাবে সেখানে রাতের অন্ধকারে জান বাজী রেখেও আমি হাজির হব,আর যে,যে বুথে তৃণমূল লিড পাবেনা,সেখানে সুজাতা দেবী তো দূরে থাক কোন তৃণমূল কর্মীও সেই গ্রামে ঘেঁসবে না।” সুজাতা মণ্ডলের এই হুমকির পর সাংবাদিকরা তাঁকে পালটা প্রশ্ন করলে সুজাতা দেবী তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকেন।
প্রসঙ্গত,ওন্দা বিধানসভায় প্রচুর সংখ্যালঘু ভোটার থাকা সত্ত্বেও গত পঞ্চায়েত, বিধানসভা এবং লোকসভা সব সবকটি নির্বাচনেই বিজেপি তৃণমূলকে পিছনে ফেলে ভালো মার্জিনে লিড পেয়েছে। আর এটাই বিষ্ণুপুর লোকসভায় অন্যতম ভোট ফ্যাক্টর। তৃণমূল ভোটারদের এই ট্রেন্ড না বদলাতে পারলে, বিজেপিকে পরাস্ত করা যে কঠিন কাজ সেটা স্পষ্ট। এই এলাকার ভোট তৃণমূলের অনুকূলে আনতেই সুজাতা দেবী এমন বেপরোয়া হুমকি দিয়ে বসলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা৷ তবে সুজাতার এই হুমকির রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে এভাবে কোনও লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।