মহানগর ডেস্ক : যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পদের মেয়াদ শেষের মুখে এসে সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মিমির এই চিঠির কোনও উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও দেননি।
মিমির বক্তব্য, “কেউ রাজনীতি করতে এলে কিছু মানুষ তাঁদের গালাগাল করার লাইসেন্স পেয়ে যায়। আমি কারও বিরুদ্ধে কোনওদিন খারাপ কথা বলিনি। আমি রাজনীতির মানুষ নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সব সময় আমি মানুষের মধ্যে থেকে মানুষের কাজ করেছি। আমি ভোটে দাঁড়াতে চাই না। করতে চাই না রাজনীতি।”
সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার চিঠি মিমি কেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরও মিমি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে টিকিট দিয়েছে, রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই আমি সাংসদ পদ ছাড়া এবং রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছে প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছি। হঠাৎ করে আমি স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিতে পারি না।”
মিমি বৃহস্পতিবার মিমি বলেন, তৃণমূলের কিছু নেতা তাঁকে এমন ভাবে কথা বলেছেন যা তাঁর সম্মানহানি করেছে।
এদিন মিমি দাবি করেন, ‘‘আমি লোকসভায় কত দিন উপস্থিত থেকেছি, কিছু লোকের তাই নিয়ে মাথাব্যথা। যদি এক মাস দিল্লিতে থাকি, লোকে বলবে সাংসদ দিল্লিতে থাকেন, এখানে কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে আমার উপস্থিতি কম। আমাদের সব দিকের ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। আমি কত কাজ করেছে সেটা নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে দেখতে পারেন। ‘সাংসদদের ফান্ড কতটা ব্যবহার করা হয়েছে, তা দিয়ে কতটা কাজ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে সেই তথ্য দেখুন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, এক বার দেখে নিন। এটা আমার গর্ব। আমি যত বার সংসদে গিয়েছি, গড়িয়ার উড়ালপুল নিয়ে, চম্পাহাটি উড়ালপুল নিয়ে, সোনারপুরের উড়ালপুল নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু রাজ্যের কথা তো ওঁরা শোনেন না। তাই মানুষ সেই পরিষেবাও পাননি। সেটা তো মানুষ বুঝছেন না। তাঁরা ভাবছেন, সাংসদ পরিষেবা দিতে পারেননি।’’
এখন দেখার মিমির সাংসদ পদে দেওয়া ইস্তফা পত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেন কি না। কেননা দেবের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছেও মমতা মানেননি, বৈঠক করে মানভঞ্জন করেন মমতা ও তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।