Home Bengal বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে, ৪২জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জনগর্জন সভা থেকে বললেন মমতা

বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে, ৪২জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জনগর্জন সভা থেকে বললেন মমতা

মমতা এদিন বলেন, "গ্রামের রাস্তা নেই, গরিব লোকের কাজ নেই, বিজেপির ভোট নেই।"

by Pallabi Sanyal
64 views

মহানগর ডেস্ক: “গতকাল একজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। তিনি বাংলার উপর অত্যাচার, অবিচার সহ্য করতে পারেননি, তাই পদত্যাগ করেছেন, এই সভা থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি”, এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার জনগর্জন সভায় তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

তৃণমূলনেত্রী বলেন, “কিসের গ্যারিন্টি? ২০২১-” ২২, “২২-২৩ অর্থবছরে টাকা দেননি। টাকা না দিয়েই বলছেন খেয়ে ফেলেছেন। আমি বলছি মোদীবাবু, অফিসারের কথায় কথা বলছেন, তথ্যটা যাচাই করে নিন। ৪৩ হাজার বাড়ি আমরা বানিয়ে দিয়েছি। ১১ লক্ষ লোকের বাড়ির টাকা দেননি। পয়লা মে-র মধ্যে ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা না দিলে আমরাই দেব। ১৮টা আসনে আপনাদের প্রার্থী জিতেছে, কি করেছেন? আমি মেট্রো প্রকল্প করেছি, আপনি উদ্বোধন করছেন। গঙ্গাসাগর সেতু, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই করব। সব সম্প্রদায়ের জন্য, সবার সাথে আমরা আছি। পাহাড়ে, রাজবংশীদের সঙ্গে, মতুয়া ভাইদের সঙ্গে আমি আছি। বলেছিল আধার কার্ড কেড়ে নেবে, চিৎকার করতেই থেকে গেছে। এনআরসি হতে দেব না। ১০০ দিনের কাজ আমরাই আমাদের টাকায় করব, কর্মশ্রী নামে এই কাজ ৪৫দিন হয়েছে। তাই এই কাজ করতে হলে আপনাদের সমর্থন চাই। আপনারা যদি না জেতান, কাজটা হবে কি করে?”

মমতা এদিন বলেন, “গ্রামের রাস্তা নেই, গরিব লোকের কাজ নেই, বিজেপির ভোট নেই।”

কেউ পাগড়ি পরলে সেই পুলিশকে খালিস্তানি বলছে, মণিপুরে কি হচ্ছে? কেন পাঞ্জাবি ভাইদের খালিস্তানিন বলছেন? এই প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “দেখবেন আবার কারও কারও বাড়িতে ইডি যাবে৷ আমি বলছি বাড়িতে এলে সিজার লিস্ট চাইবেন।”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, “হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়েছ। কেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর। রমজান আসছে। শপথ নিন বিজেপিকে বিদায় করব।”

এদিন মমতা প্রার্থী তালিকা নিয়ে বলেন, “তৃণমূল বাংলায় একা লড়বে। ইউপিতে একটা আসনে লড়বে,মেঘালয়ে লড়বে। প্রার্থী তালিকা আজ ঘেষণা করছি। সবাইকে হয়তো নিতে পারিনি। যাদের নিতে পারিনি, তাঁদের বিধানসভায় দেখব।”

প্রার্থী তালিকা অভিষেক পড়ে শোনান। মমতা Ramp এ প্রার্থীদের নিয়ে হাঁটেন।

অভিষেক বলেন, “দলনেত্রীর অনুমতি নিয়ে বাংলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে ৪২ জন লড়বেন তাঁরা হলেন কোচবিহারে জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া, আলিপুরদুয়ারে প্রকাশ সিং বরাইক, জলপাইগুড়িতে নির্মলচন্দ্র রায়, তিনি ধূপগুড়ির বিধায়ক, দার্জিলিংয়ে গোপাল লামা, রায়গঞ্জে কৃষ্ণকল্যাণী, বালুরঘাটে বিপ্লব মিত্র, মালদা উত্তরে প্রসূন ব্যানার্জী, মালদা দক্ষিণে শাহনওয়াজ আলি রেহান, জঙ্গিপুরে খলিলুর রহমান, বহরমপুরে ইউসুফ পাঠান, মুর্শিদাবাদ থেকে আবু তাহের খান, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র, রানাঘাটে মুকুটমণি অধিকারী, বনগাঁয় বিশ্বজিৎ দাস, ব্যারাকপুরে পার্থ ভৌমিক, দমদমে সৌগত রায়, বারাসাতে কাকলী ঘোষদস্তিদার, বসিরহাটে হাজি নুরুল ইসলাম, জয়নগরে প্রতিমা মণ্ডল, মথুরাপুরে বাপি হালদার, ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর থেকে সায়নী ঘোষ, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, কলকাতা উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ায় প্রসূন ব্যানার্জী, উলুবেরিয়া থেকে সাজদা আহমেদ, শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগে মিতালী বাগ, তমলুকে দেবাংশু ভট্টাচার্য, কাঁথি থেকে উত্তম বারিক, ঘাটালে দেব, ঝাড়গ্রামে কালীপদ সোরেন, মেদিনীপুরে জুন মালিশা,পুরুলিয়ায় শান্তিরাম মাহাতো, বাঁকুড়ায় অরূপ চক্রবর্তী, বর্ধমান পূর্ব থেকে শর্মিলা সরকার, বর্ধমান দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদ, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা, বোলপুরে শতাব্দী রায়, বিষ্ণুপুরে সুজাতা মণ্ডল খাঁ।
অভিষেক বলেন, “এটা শুধু নির্বাচনে জেতার ভোট নয়, প্রতিবাদের, প্রতিশোধের ভোট।”

You may also like