মহানগর ডেস্ক : অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যাওয়া যখন সময়ের অপেক্ষা ঠিক তখনই অর্জুন সিংকে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে জিতিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিল তৃণমূল। তবে অর্জুন সিং তৃণমূলের এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
এদিকে অর্জুন সিং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁকে ব্যারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী করলে তিনি তৃণমূল ছাড়বেন, ব্যারাকপুরে বিজেপির হয়ে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লির সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের এই যোগাযোগের কথা জানা মাত্র তৃণমূল অর্জুনকে এই প্রস্তাব দেয়।
এদিকে সকালেই অর্জুন সিং জানিয়ে দেন, “আমি এখন এমপি, আমায় এমএলএ করার কথা এখন বলছে, এর পর কি কাউন্সিলর হওয়ার প্রস্তাব দেবে?”
এখানেই শেষ নয়, অর্জুন সিং মঙ্গলবার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মোদীর হাওয়া বইছে। বিজেপি এবার রাজ্যে ভালো ফল করবে।”
মঙ্গকবার সকালে অর্জুন সিং তাঁর অফিস শ্রমিক ভবন থেকে মমতা, অভিষেকের ছবি, তৃণমূলের প্রতীক সরিয়ে দেন। দুপুরে তাঁর অফিসে নরেন্দ্র মোদীর ছবি, প্রধানমন্ত্রীর সই করা শুভেচ্ছাবার্তা সাজিয়ে রাখা হয়।
অর্জুন সিং তৃণমূলের কোনও অন্য প্রস্তাবেই যে সম্মত নয় তা স্পষ্ট মঙ্গলবার সকালেই স্পষ্ট করেছেন,বলেছেন আমি ব্যারাকপুর ছাড়া কোথাও যাব না।
এদিকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কেউ যখন তৃণমূল ছাড়বেন বলেন তখন তৃণমূল তাঁকে রাখার জন্য অনেক উপঢৌকন দেয়। তাটপর তিনি যখন তৃণমূল ছাড়েন তখন তাঁকে সবার আগে তৃণমূলই ক্রিমিনাল বলে দেয়।”
প্রসঙ্গত, সদ্য তৃণমূলের বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূলের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই আসনটিতে উপনির্বাচন হবে। সেখানেই অর্জুন সিংকে প্রার্থী করে, জিতিয়ে,রাজ্যের মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে অর্জুন তাঁর বক্তব্যে অটল, তিনি বলছেন, “আমাকে ডিপ্রাইভ করা হয়েছে, বেইজ্জত করা হয়েছে। দুজন বিধায়ককে আমার পিছনে লাগিয়ে আমার গলা কাটা হয়েছে। যে ব্যক্তিকে ব্যারাকপুরে টিকিট দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমার পার্থক্য কি আছে?”