মহানগর ডেস্কঃ কোনো সুরাহা না মেলায় শেষমেষ রাজ্যপুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আজ সকাল বেলা সেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিরা। দরজার তালা ভেঙ্গে গোয়েন্দারা। সাতসকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁরা হাজির হলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। পাশাপাশি ন্যাজট থানাতেও আগে থেকেই জানিয়ে এসেছিলেন অভিযানে। শেষপর্যন্ত স্থানীয় পুলিসকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে, সাক্ষী রেখে তালা ভেঙে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এই অভিযান নিয়েই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের IT সেলের ইনচার্জ আজ সন্দেশখালির ব্যপারে বলেন যে, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, স্থানীয় পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন । আজ দেখুন রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় কি মসৃণ ভাবে সবটা এগোচ্ছে । ইডি যেন সন্দেশ খালির জামাই , এভাবেই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক । ব্যাংলার প্রশাসনকে ভরসা করতে শিখুক কেন্দ্রীয় সংস্থা ।” দেবাংশুর বক্তব্য , “রাজ্যপুলিশের কাছে সব থেকে ভালো ডেটা থাকে যে কোন এলাকায় সব থেকে বেশি অশান্ত হতে পারে, কোন জায়গায় সেন্সিটিভিটি কতটা ? এই তথ্য যদি আপনারা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে শেয়ার না করেন যে আপনারা কখন কোথায় যাচ্ছেন তাহলে এরকম পরিস্থিতি আসতে পারে । আজকেরের দিনে তাঁরা যখন ১৯ দিনের মাথায় গিয়েছেন কি সুন্দর ভাবে কতো মসৃণ ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আমার তো দেখে মনে হচ্ছে ইডি সন্দেশখালির জামাই রাজা । তাঁরা এতো সুন্দর ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন, এটাই হয় যখন আপনারা রাজ্য পুলিসকে আপনারা লুফে নিয়ে কাজ করেনারা । কি সুন্দর ভাবে রাজ্য পুলিশরা তাদের সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছে, আপনারাও আপনাদের সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছেন । আপনাদেরও সাক্ষী আছে, রাজ্য পুলিসেরও সাক্ষী আছে । এবার আপনারা আপনাদের মতো কাজ করুন না, কে বারণ করেছে? আরও একটা প্রশ্ন করেন তিনি, রাম মন্দির উদ্বোধন হয়ে গেলো ২২ তারিখ এই একটা দিন খেঁটেছে ২৩ তারিখ, তারপর আবার শুরু হয়ে গেলো সবতা,রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ৫-৭ দিন এতোটা চুপচাপ কেনো ছিলেন? এটাকি বিজেপির কৌশল যে রাম মন্দিরের থেকে অ্যাটেনসান সরাতে দেবনা, সেই জন্য রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কোথাও কোন তল্লাশি ভারতবর্ষ জুড়ে হলনা ।”
উল্লেখ্য , আজ তদন্তের আগে ইডি অফিসাররা সন্দেশখালি এলাকায় যে অভিযান হবে তা রাতে বসিরহাট থানায় ইমেল করে জানিয়ে দেয় । শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক,তাকে ধরতে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তু সংস্থা। তার পরেও অধরা শাহজাহান। বুধবার সকালে শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডির ১২ অফিসারের একটি দল। এদের মধ্যে ছিলেন ৬ ইডি অফিসার, ৩ সাক্ষী, এলাকার ২ সাক্ষী ও একজবন ভিডিয়োগ্রাফার। এদিন সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হাজির হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকাজুড়ে, তাঁর অনুগামীরা আবার অশান্তির সৃষ্টি করার চেষ্টা করে এই দেখে খবর যায় ন্য়াজাট থানার পুলিসের কাছেও। পুলিস এসেও যায়। শাহাজাহানের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয়বাহিনী। স্থানীয় পুলিসকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখায় ইডি, তখন পুলিস তাদের ভিডিয়োগ্রাফার রাখার কথা বলে, কিন্তু ইডি সেই দাবিতে অমত পোষণ করেন, ইডি আধিকারিকরা জানায় ভিডিয়োগ্রাফি করবে একমাত্র ইডি-ই। সেই ফুটেজ পুলিসকে দিয়ে দেওয়া হবে।