মহানগর ডেস্ক : খাস কলকাতার ওয়াটগঞ্জে ভয়াবহ কাণ্ড। পরিত্যক্ত জায়গা থেকে দিনেদুুপুরে মহিলার খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ পাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ওই মহিলার পরিচয় এখনও অজ্ঞাত। তাঁকে সেখানেই খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও খুন করার পর দেহ লোপাটাের জন্য ওই ফাঁকা জায়গায় এনে ফেলা হয়েছে, তার তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার হচ্ছে।
কলকাতা বন্দর এলাকার ওয়াটগঞ্জের সত্য ডাক্তার রোডের উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে গিয়েছিল মাদকাসক্ত কয়েকজন যুবক। আচমকা তাঁদের নাকে বীভৎস পঁচা গন্ধ আসতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে তিনটি কালো প্লাস্টিক দেখতে পান ওই যুবকরা। তা খুলতেই দেখা যায়, একটি প্যাকেটে এক মহিলার কাটা মুন্ডু, দুটি প্লাস্টিকে দুটি পা এবং আরেকটি প্যাকেটে দেহের আরেকটি অংশ। দেখেই ভয়ে চমকে ওঠেন ওই যুবকরা। খবর দেওয়া হয় ওয়াটগঞ্জ থানায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কোথা থেকে এই মহিলার খণ্ডিত দেহাংশ এখানে এলো সেই রহস্য উন্মোচনে পুলিশি নেমে পুলিশও রীতিমতো স্তম্ভিত। তদন্তে নেমে একাধিক দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। যেখানে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে সেই পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ঘুরে আরও কয়েকটি দেহাংশও পুলিশ উদ্ধার করেছপ। সবই কটি ক্ষেত্রেই দেহাংশ প্লাস্টিকে ভরা ছিল। বুক ও পেটের অংশ পাওয়া গিয়েছে কোয়ার্টারের ভিতরে। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। পুলিশ কুকুর ‘ক্যাম্পার’কে তল্লাশি অভিযানে কাজে নামান হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই খণ্ডদেহ উদ্ধারের রহস্য ভেদের চেষ্টা করছেন। কেউ সন্দেহজনক কিছু দেখেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পাশাপাশি ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশের অনুমান, অন্তত ৯ টুকরো করা হয়েছে দেহ। সমস্ত অংশ খুঁজে দেখা হচ্ছে।