মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জুড়ে ছিল শুধুই সন্দেশখালি। ৬ মার্চ, বুধবার বারাসতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের আগে নজরে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা মোদীর সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সেই জল্পনা বাস্তবে সত্যি না হলেও সন্দেশখালির কয়েকশো মহিলা এদন সভায় উপস্থিত থাকার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে, সন্দেশখালি থেকে ৮০০-র বেশি মহিলা বারাসতে মোদীর সভায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বসিরহাট লোকসভার বিজেপি আহ্বায়ক বকাশ সিংহ। সন্দেশখালির ঘটনায় তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও কয়েকদিন আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। বিকাশ সিংহের কথায়, এদিন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা মোদীর সভায় না গেলেও পরে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করানোর চেষ্টা করা হবে।
তবে শুধু মহিলারাই নন। প্রধামন্ত্রীর বারাসতের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সন্দেশখালি থেকে শয়শয়ে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে সন্দেশখালি ঘাট পেরিয়ে ধামাখালিতে যাচ্ছেন। সেখান থেকে বাসে করে বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তারা। প্রায় ১০ বছর পর এইভাবে একসঙ্গে এত স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মিছিল করতে দেখা গেল সন্দেশখালিতে। শাসকদল বারে বারে দাবি করে বলেছিল যে সন্দেশখালিতে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার সাথে যোগ দিতে চলেছেন এই হাই ভোল্টেজ সভায়।
উল্লেখ্য, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি তৃণমূল সন্ত্রাস করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দমিয়ে রেখেছিল এতদিন। তাদের নানান রকম হুমকি দিয়ে দমিয়ে রেখেছিল, যাতে তারা সংগঠন বৃদ্ধি করতে না পারে। তবে, মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের গ্রেফতারির পর দেখা গেল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোচ্ছেনসন্দেশখালির বিজেপি কর্মীরা।