মহানগর ডেস্ক: ছোটো বেলায় মা ঠাকুমা থেকে চন্দ্রবিন্দুর গান। সো খানেই বলতে শোনা গেছে- ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।’ কিংবা দুধ খেলে বুদ্ধি হবে, শক্তি আসবে শরীরে এমন নানা যুক্তি। কারণ দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার (পনির, দই, ছানা) হল সুষম খাদ্য। রয়েছে প্রোটিন, ফসফসরাস, ক্যালশিয়াম সহ অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ। তবে সবার জন্য এই দুধ একেবারেই উপকারী নয়, বরং শরীরে নানান অসুবিধার জন্ম দিতে পারে। আসুন সেই সম্পর্কে জানা যাক।
আবার দুধ বা দুধের সব ধরনের প্রোডাক্ট না জেনেই অনেকে খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি জানেন না তার শরীরে হয়তো দুধের প্রয়োজন। তাই দুধ খাওয়া বা ছাড়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তবে এবার আসা যাক সাধারণত কারা দুধ বা দুঃখ যত খাবার এড়িয়ে চলবেন সে প্রসঙ্গে।
১. ওজন হ্রাস: যাদের একটু প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলেই মোটা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের এই দুধ বা দুগ্ধজাত নানা খাবার থেকে নিজেদেরকে শত হাত দূরে রাখাই ভালো। কারণ দুধে অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। তবে এর বদলে আপনি ডাবল টোনড মিল্ক খেতে পারেন।
২. পেটের সমস্যা: অনেকেই আছেন যারা একটু কিছু খেলে হজমের সমস্যায় ভোগেন। তার থেকে নিয়ত পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী মানুষের দুধ বা দুদ্ধজাত খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে পেট খারাপ বারবার হলে এই খাবার না খাওয়ার কথা।
৩ ল্যাকোটজ ইনটলারেন্স: দুধে থাকে ল্যাকটোজ। সাধারণত এই উপাদান সকলের সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু মানুষের শরীরে ল্যাকটোজ খেলে অ্যালার্জি হয়। তাই এই সমস্যা থাকলে আপনাকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
৪. ব্রণর সমস্যা: অনেকেই রয়েছে যাদের ভীষণ সেনসিটিভ স্কিন। ফলে অনেক সময় তাদের মুখে ব্রণর আবির্ভাব হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্রণ বেশি হলে দুধ বা দুধের থেকে তৈরি খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, এই রোগে ভুক্তভোগীদের যতটা সম্ভব কম পরিমাণে দুধ খাওয়া উচিত।
৫. অম্বল: যারা একটু কিছু খেলেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাদের একেবারেই দুধ বা দুধের তৈরি খাবার ছোঁয়াই পাপ। কারণ এটা খেলেই গ্যাস বাড়বে বই কমবে না।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। তবে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।