মহানগর ডেস্কঃ দীর্ঘ ২২ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। তাও আবার সভাপতি পদে বসতে চলেছেন অ-গান্ধী পরিবারের সদস্য। সেই প্রেসিডেন্ট পদে বর্তমানে কে বসবেন? তার ফলাফল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। বুধবার দুপুরেই দলের নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে হাত শিবির।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন সোনিয়া গান্ধী। অবশেষে তাঁর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হবেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ। খাড়গে এবং থারুর দু’জনেই নিজেদের জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।
বুধবার সকাল থেকে ভোট গণনা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। মঙ্গলবারেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যালট বক্স এসে পৌঁছেছে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরের স্ট্রং রুমে। সেখানেই এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে কাউন্টিং। দুপুর ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে নয়া প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করা হবে কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময়ে সদর দফতরে উপস্থিত থাকতে পারেন সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এমনটাও জানা যাচ্ছে। রাহুল গান্ধী এই মুহূর্তে ভারত জোড়ো যাত্রা উপলক্ষ্যে রয়েছেন কর্ণাটকে। সেখানকার একটি অস্থায়ী ক্যম্পেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও ওই দফতরে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এই সভাপতি পদের নির্বাচন পর্ব নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সমর্থন করায় সভাপতি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের ব্যঘাত ঘটেছে বলে দাবি করেন প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়গের জয় সুনিশ্চিত। তবুও ৩৯ বছর আগের ইতিহাস বলছে, এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মহাত্মা গান্ধীর মনোনীত প্রার্থী সীতারামাইয়াকে হারিয়েছিলেন নেতাজি। সেই হিসেবে বিচার করলে শশী থারুরের জয় নিশ্চিত। এখন এই নির্বাচনের ফলাফল কী হতে চলেছে সেটাই দেখার অপেক্ষা আর মাত্র কিছুক্ষণের।