মহানগর ডেস্ক: ভ্রমনার্থীরাই বলেন কেদারনাথ যাত্রা ভাগ্যের ব্যাপার। পয়সা থাকলেও এখানে যাওয়া যায় না। স্বয়ং ভোলানাথ না চাইলে হয় না। এবার সেই স্বপনের জায়গায় মাত্র ১ ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে উদ্যোগ নিল সরকার। পুরোদমে এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে প্রতি বছর আরও বেশি মাত্রায় পুন্যার্থীদের দল কেদারনাথ মন্দিরে ভিড় বাড়াবে বলে মত প্রসাশনের। ইতিমধ্যেই কেদারনাথ মন্দিরে যেতে সেই রোপওয়ে প্রকল্পে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের এই উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় ধর্মীয় পর্যটনে আরও বেশি উৎসাহ দিতে চূড়ান্ত তৎপরতা দেখাতেই এবার ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ রুদ্রপ্রয়াগের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ মন্দিরের মধ্যে একটি রোপওয়ে প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে। যে প্রক্লপ চালু হলেই গৌরীকুন্ড থেকে মন্দিরে ১৬ কিলোমিটার যে রাস্তা প্রায় ১ দিন হাতে নিয়ে ট্রেক করে উঠতে হত। ফলে বয়স্কদের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হত না। কিন্তু এবার সেটি রোপওয়েতে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, রোপওয়ে তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছানোর সময়কে যেমন কমিয়ে দেবে, তেমনই ভ্রমণের ক্লান্তি কিছুটা লাঘব হবে। করোনা আবহ এবং মন্দির পথে ধস কাটিয়ে চলতি বছরের ৮ মে থেকে কেদারনাথ মন্দির খুলে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ইতিমধ্যেই গৌরীকুন্ড থেকে ১৬ কিমি রাস্তা ট্রেক করেই ইতিমধ্যে কেদারনাথ পৌঁছেছেন প্রায় ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার পুন্যার্থী। ১ লক্ষ ৩ হাজার পুন্যার্থী পৌঁছেছেন হেলিকপ্টারে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪ লক্ষ ৫৯ হাজারের বেশি পুন্যার্থীর পা পড়েছে ভলেবাবার দরবার কেদারনাথে।