মহানগর ডেস্ক: বিশ্ব ক্রীড়ার জগতে এক সবেকিয়ানার ছোঁয়া বয়ে নিয়ে চলে উইম্বলডন প্রতিযোগিতা। তার কোট থেকে পোষাক সবটাতেই রয়েছে এক অভিজাত সবেকিয়ানা। বর্তমানে দাঁড়িয়ে এখনও সেই খেলা চলে ঘাসের কোর্টে। যা অবশ্যই এই প্রতিযোগিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বটে সঙ্গে দিয়েছে এক আলাদা পরিচিতি। আর সেই ছাপ রেখে ছিল পোশাক বিধিতেও। এখানে সাদা রঙের পোশাক যেমন বাধ্যতামূলক। তেমনই মেয়েদের স্কার্টের নীচের অন্তর্বাস এর রঙও সাদা ছিল বাধ্যতামুলক। কিন্তু এখন থেকে আর সেই নিয়ম থাকছে না। কর্তৃপক্ষ নিয়ম শিথিল করে এখন থেকে সেই অন্তর্বাস বা শর্টস এর রং সাদা ছাড়াও গাঢ় রঙের পরিধানের অনুমতি দিল।
সূত্রের খবর, শুক্রবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।এই নিয়মের শিথিলতার কারণ হিসাবে মহিলা ক্রীড়াবিদদের পিরিয়ড এর যুক্তি খাঁড়া করা হয়েছে। কারণ এই মাসিক চক্র চলাকালীন গাঢ় রঙের ছোট শর্টস ব্যবহার তাঁদের আকস্মিক লজ্জার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উইম্বলডনের তরফেও জানানো হয়েছে সম্প্রতি ডব্লুটিএ’র (ওম্যান্স টেনিস অ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে এক আলোচনায় বসার পর পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং মেডিক্যাল সংস্থার সঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা হয় মহিলা ক্রীড়াবিদদের সুবিধা দেওয়া নিয়ে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
অল ইংল্যান্ড ক্লাবের চিফ এক্সিকিউটিভ স্যালি বল্টন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ‘ক্রীড়াবিদদের সমর্থন দিতে তারা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁদের মতামত সবসময় শুনতে প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ। তাঁদের লক্ষ কোনও বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই খেলোয়াড়রা তাদের সেরা খেলাটা যাতে দিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি তাঁর সঙ্গে ক্রীড়াবিদ, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের কথা হয়েছে। তারপরেই উইম্বলডনের সাদা পোশাক বিধিতে কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আসন্ন ম্যাচ গুলোতে উইম্বলডনে মহিলা ক্রীড়াবিদরা চাইলে সাদা ব্যতীত অন্য রঙের ছোট শর্টস পড়তে পারবেন। আর এই নিয়মের ফলে ক্রীড়াবিদরা তাঁদের খেলার প্রতি মনোনিবেশ ছাড়া অন্যান্য সামাজিক বা মানসিক দুশ্চিন্তা বা অস্বস্তির দিকে মন চলে যাওয়ার অবকাশ থাকবে না বলেই তিনি আশা রাখেন।’