মহানগর ডেস্কঃ বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে যে পুজো হয়, তা স্থানীয়দের কাছে কেষ্টর কালীপুজো হিসেবেই বেশি পরিচিত। দল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই পার্টি অফিসে নিত্য কালী পুজো করে আসছেন কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। পুজোর আগের দিনই নিজের হাতে মাকে গয়না পরাতেন অনুব্রত মণ্ডল। কখনও তাতে ছেদ পড়ত না। কালীপুজোর দিন সাধারণ মানুষের অবাধ প্রবেশ থাকত কালী মন্দিরে। রাতে প্রায় কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ পুজোর প্রসাদ খেতেন।
চলতি বছরের পরিস্থিতি অন্যান্য বছরের তুলনায় পুরোপুরিই আলাদা। গরু পাচার মামলায় বোলপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেলে। তাই আসল উদ্যোক্তার অনুপস্থিতিতে পুজোর নিশ্চয়তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। পরবর্তীতে দলীয় বৈঠকে ঠিক হয় অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে ঐতিহ্য মেনে দলের সকলে চাঁদা দিয়ে পুজোর আয়োজন করবেন।
দলীয় সূত্রের খবর, পুজোর আয়োজনের জন্য দলের জেলা কমিটির সদস্য ও শাখা সংগঠন মিলিয়ে মোট ১৫০ জনের থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা। তবে নিরাপত্তার কারণে এই বছর আলাদা করে আর গয়না পরানো হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এত দিন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট কোনও চাঁদা তোলেননি। বরং অজানা রহস্যে মা কালীর গয়নার পরিমাণ বাড়ত লাফিয়ে লাফিয়ে। গয়নার পাশাপাশি বিপুল আড়ম্বর এবং জাঁকজমক থাকত এই পুজোতে। এই বছরের পুজোতে মাথার মুকুট, গলার হাড়, কানের দুল এবং পায়ের নূপুর এই চার রকমের গয়নাই থাকছে বলে জানানো হয়েছে বোলপুরের দলীয় পার্টি অফিসের তরফে।