মহানগর ডেস্ক: মেমের কাণ্ড দেখলে যে কেউ ভিমরি খাবেনই খাবেন। এমন কাণ্ড কজন দেখেছেন, হলফ করে বলুন দেখি। তা-ও আবার আমেরিকার (USA) মতো ঝাঁ চকচকে দেশে। তাহলে ব্যাপারটা খুলেই বলা যাক। দেখা যাক জানার পরে আপনি ভিমরি খান কিনা। ম্যাসাচুসেটসের নাম নিশ্চয় জানেন। সেখানেই ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনাটা (Woman Attacked With A Swarm Of Bees)। গত বারো তারিখে হ্যাম্পডেন কাউন্টি বিভাগের ডেপুটিরা গিয়েছিলেন লংমেডিউয়ে একটি বাড়ি খালি করার কোর্ট নোটিস দিতে। সেখানে নোটিস দিতে গিয়ে রীতিমতো প্রতিবাদের মুখে পড়েন তাঁরা।
নোটিস দেওয়ার সময় বেপাড়া থেকে গাড়ি চড়ে হঠাৎই হাজির হন বছর পঞ্চান্নর রোরি উড। পরনে বি-কিপারদের স্যুট। গাড়ি থেকে নেমে একটা ট্রেলার নিয়ে গটগট করে হেঁটে সোজা চলে যান শেরিফের লোকজনদের কাছে। তাঁদের সামনে পৌঁছনোর আগে ট্রেলারটা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নেন। তারপর হঠাৎই ট্রেলারটির একটা দিকে খুলে দেন। সঙ্গেসঙ্গে হাজার হাজার হুলওয়ালা মৌমাছি বেরিয়ে হুল ফুটিয়ে দেয় শেরিফের লোকজনদের হাতে, পায়ে। তাঁদের অনেকেই মৌমাছিতে অ্যালার্জিক। কামড় খেয়ে ছটফট করতে থাকেন। ছটফট করা শেরিফের লোকজনদের রোরি জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের মৌমাছিতে অ্যালার্জি আছে। খুব ভালো, খুব ভালো।
এই ঘটনার পরেই রোরিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রোরি ও অন্যান্যরা জানান তাঁরা বেআইনি উচ্ছেদ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। বাড়ির মালিক অ্যালটন কিং পরের দিন একটি দেউলিয়ার ওপর স্থগিতাদেশের প্রমাণ নিয়ে আসেন। হ্যাম্পডেন কাউন্টি শেরিফের সিভিল প্রসেস বিভাগের প্রধান রবার্ট হফম্যান জানিয়েছেন, তিনি এই ধরণের ঘটনা কখনও দেখেননি। তিনি আশা করছেন কাউন্টির বাইরে থাকা প্রতিবাদকারীরা এ ধরণের কাজ করার আগে দু বার ভাববেন। কারণ এরকম করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। শেরিফও জানিয়েছেন তাঁর অফিসারদের সঙ্গে জঘন্য কাজ করা হয়েছে। এক অফিসারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন নাহলে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হতো।