মহানগর ডেস্ক: যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রলি ব্যাগে মহিলার দেহ (Woman Dead Body) পাওয়ার দিন কয়েক পর ফের সেখানেই এক তরুণীর দেহ মিলল ট্রলি ব্যাগে। ওই তরুণীকে গুলি করে খুন করার পর তার দেহ পোরা হয় ট্রলি ব্যাগে। মৃত তরুণীর নাম আয়ুষি যাদব। বাড়ির দিল্লির বদরপুরে। জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগে আয়ুষি তার বাবা নীলেশ যাদবকে না বলে কোথাও গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পর কেন তাকে সে বলে যায়নি, এ নিয়ে নীলেশের সঙ্গে তার কাটাকাটি হয়। রাগের বশে আয়ুষিকে গুলি করে মেরে ফেলে নীলেশ। খুনের পর মেয়ের দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে (Body Rapped In Politin) ট্রলি ব্যাগে পুরে মথুরার এক্সপ্রেসওয়েতে ফেলে রেখে আসে সে। শুক্রবার ট্রলি ব্যাগে তার দেহ পাওয়া যায়। প্রথমে পুলিশ দেহটি কার,তা শনাক্ত করে উঠতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে ট্রলি ব্যাগে পাওয়া দেহের খবর কাছাকাছি জেলার থানাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। অটোপ্সির জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে কুয়ো থেকে ছ টুকরো দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রিন্স যাদব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে নিয়ে কুয়োয় ফেলে রাখা মৃত মহিলার কাটা মুণ্ডু উদ্ধারে গেলে পুলিশের সঙ্গে তার সঙ্ঘর্ষ বাধে। একটি গুলি এসে লাগে তার দেহে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত প্রিন্স একটি দেশি পিস্তল সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশের হাত থেকে পালাতে সে গুলি চালায়। গত পনেরো তারিখে স্থানীয় কয়েকজন কুয়োর মধ্যে দেহ দেখতে পায়। ওই মহিলাকে প্রথমে শনাক্ত করা না গেলেও পরে জানা যায় তার নাম আরাধনা। তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় কুয়োর মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহটি দু থেকে তিন দিনের পুরনো বলে জানা যায়। এই খুনের ঘটনা দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস খুনের ঘটনার কথা উস্কে দিয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুন করে তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা পঁয়ত্রিশ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর আঠেরো দিন ধরে মেহরলির জঙ্গলে টুকরো গুলি একটা একটা করে পুতে দেয়।
সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আফতাবকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত প্রিন্স তার বাবা-মা,ভাগনে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনুরাধাকে খুনের ছক কষে। অনুরাধা তাকে বিয়ে না করে আরেকজনকে বিয়ে করায় তাকে খুনের মতলব আঁটে প্রিন্স। অনুরাধা থাকতো আজমগড়ের ইশকপুর গ্রামে। নভেম্বরের ন তারিখে অনুরাধাকে বাইকে করে মন্দিরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে পৌঁছনোর পর ভাগনের সাহায্যে আখের খেতে তাকে গলা টিপে খুন করা হয়। তারপর ছটি টুকরো করে দুজনে। দেহের ছটি টুকরো পলিথিনে মুড়ে কুয়োয় ফেলে দেয়। প্রিন্সের কাছ থেকে পুলিশ একটি ধারালো অস্ত্র, দেশি পিস্তল ও কার্তুজ আটক করেছে পুলিশ।
.