মহানগর ডেস্ক: রক্তহিম (Chilling) হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার। এই সিরিয়াল কিলারের (Woman Serial Killer) নাম এরজসেবট ব্যাথনি। হাঙ্গেরির ভয়ঙ্কর খুনে এই মহিলা অন্তত একশোজন তরুণীকে সে মেরে ফেলেছিল। সালটা ছিল ১৫৮৫। সময়ের ব্যাপ্তি ১৬০৯ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে তার শিকার হয় ওই তরুণীরা। যদিও জন্মেছিলেন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। হাঙ্গেরির ব্যাথনির পরিবার ট্রান্সসেলভানিয়ার শাসক। কাকা ছিলেন পোল্যান্ডের শাসক। ১৫৭৫ সালে বিয়ে করেন কাউন্ট ফেরেনজকে। বিয়ের পর চলে যান ক্যাচটিস দুর্গে। যতদিন তার স্বামী বেঁচেছিলেন,ততদিন তাকে নিয়ে কোনও গুজব শোনা যায়নি। রীতিমতো সম্ভ্রান্ত জীবনই যাপন করতেন। চার সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে নানা ভয়ঙ্কর কথা শোনা যেতে শুরু করে। তার নির্দয় কাজকর্মের কথা ভেসে বেড়াতে থাকে। একাধিক কৃষক কন্যার মৃত্যুকে ঘিরে সন্দেহের আঙুল ওঠে তার দিকে। খবর চাউর হওয়ার পর হাঙ্গেরির রাজা ম্যাটিয়াস তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তে উঠে আসে নারকীয় ঘটনার পর ঘটনা। তদন্তে জানা যায় ব্যাথনি তার পরিচারিকাদের সাহায্যে ছশো মেয়েকে খুন করেছে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে হাঙ্গেরির পুলিশ। দুর্গে তার চেম্বারে আমৃত্যু তাকে বন্দি করে রাখা হয়। তার পরিচারকদেরও ডাকিনি চর্চায় জড়িত থাকার দায়ে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। তাকে রক্তখেকো কাউন্টেস বলেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাকে ভ্যাম্পায়ার বলেই তার কুখ্যাতি ছড়িয়েছিল। ব্যাথনি জন্মেছিল ১৫৬০ সালে সাত আগস্ট। বাবার নাম ছিল জর্জ ব্যাথনি এবং আন্না ব্যাথনি। বাবা-মা যথেষ্ট সম্ভ্রান্ত ছিলেন। ট্রানসসেলভিনিয়ার শাসকদের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। ব্যাথনির বড়দা হাঙ্গেরির রয়াল জাজ হয়েছিলেন। ব্যাথনি প্রোটেস্টান্ট ধর্মের সঙ্গেই বড় হয়েছিলেন। লাতিন,জার্মান, গ্রিকভাষাও শেখেন। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মানোর সুবাদে ভালো শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাও ছিল তার। সেসময় শোনা গিয়েছিল কুমারী মা হিসেবে তিনি একটি সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানটিকে তার পরিবার বিশ্বস্ত এক মহিলাকে দিয়ে দেয়। শোনা গিয়েছিল তার বাবা একজন স্থানীয় অল্পবয়েসি কৃষক।