মহানগর ডেস্ক: গল্পকেও হার মানাবে এই সত্যি ঘটনা (Not Fiction, A True Story)। গল্প নয়। সত্যিই এক প্রেমের কাহিনি, যে প্রেমের কাহিনি শুনেছেন কিনা জানা নেই। কোনও লেখকের মাথায় এমন গল্প এসেছে কিনা, তাও জানা নেই। এই অদ্ভুত ও আশ্চর্য প্রেমের ঘটনাটা ঘটেছে রাজস্থানে। সেখানকার ভারতপুরের একটি কলেজের ঘটনা এটি। সেই কলেজের শারীর বিদ্যার শিক্ষিকার নাম মীরা। কলেজে পড়াতে পড়াতেই তিনি প্রেমে পড়ে যান কল্পনা ফৌজদার নামে স্কুলের এক ছাত্রীর। স্কুলে কবাডি খেলতো কল্পনা। রাজ্যস্তরে খেলার পাশাপাশি দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কবাডি প্রতিযোগিতায় সুযোগ পান।
ততদিনে তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছেন শিক্ষিকা মীরা। প্রেমে তো পড়েছেন কিন্তু তারপর কী হবে? প্রেমে পড়ার পর দুজনের মধ্যে শুরু হয় ঘনিষ্ঠতা। এ ক্ষেত্রে সমকামিতার কথা মাথায় আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘটনাটা সেদিকে গড়াল না। কারণ সমকামী হতে চাননি শিক্ষিকা মীরা। প্রেম যখন খুব জমে গিয়েছে,তখন মীরার কল্পনাকে বিয়ের কথা মাথায় আসে তাঁর। দুজনের মধ্যে প্রেমকে সম্মান দিতে তিনি ছাত্রী কল্পনাকে বিয়ে করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকেন। গোপনে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে যৌনরূপান্তরের দিকে এগোন। তিনি যদি মহিলা থেকে পুরুষ হন,তাহলে বিয়েতে কোনও বাধা নেই (Sex Changed To Marry Girl Student)। তারপর অস্ত্রোপচার করে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হন মীরা।
তাঁর নাম পাল্টে হয়ে যায় অউরভ কুন্তল। তারপর বিয়ে হয়ে যায় কল্পনার সঙ্গে। স্বপ্ন পূরণ হয় দুজনের। সংবাদমাধ্যমকে অউরভ জানিয়েছেন, প্রেমে সব কিছুই সম্ভব। তাই তিনি তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। জানান, স্কুলে পড়ার সময়ই খেলার মাঠে তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। সেখানেই প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়ে যান মীরা। তিনি জানান, মেয়ে হয়ে জন্মালেও সবসময় ভাবতেন তিনি একজন ছেলে। বরাবরই চেয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলে হবেন। ২০১৯ সালে প্রথম অস্ত্রোপচার করেন মীরা। তবে কল্পনা যা বলেছেন তা অবশ্যই চমকে যাওয়ার মতোই। জানান বহুদিন ধরেই শিক্ষিকার প্রেমে পড়েছিলেন। শিক্ষিকা যদি লিঙ্গ পরিবর্তন না- করতেন, তাহলেও তিনি তাঁকে বিয়ে করতেন। কল্পনাই অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর প্রেমিক শিক্ষিকার সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এসব ঝঞ্ঝাটের পর এই অভিনব বিয়ে হয়, ভারতবর্যে বিরল বলেই জানা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারও এই বিয়ে মেনে নিয়েছে।