মহানগর ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের শরীরে পিসিওএস অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ( Polycystic Ovary Syndrome) দেখা যায়। সাধারণত হরমোনের অসামঞ্জস্যতা হলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। হজম ভালো করে হয় না। মাসিকের সমস্যা দেখা যায়। ওজন বাড়তে থাকে। আবার চুল ও ত্বকও নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এই সময়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের দিকে বেশি নজর দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আপনারা কি জানেন, যে সকল মহিলার পিসিওএস আছে তাদের শরীরে বেড়ে যেতে পারে শর্করার মাত্রা!
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের টেস্টোস্টেরন, ইনসুলিন ও সাইটোকাইন ক্ষরণ বেড়ে যায়। তাঁদের শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে কিন্তু এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারেনা। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে অ্যাপেল এবং হার্ভার্ডের ‘ওমেন্স হেলথ স্টাডি’ নামের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, PCOS-এ আক্রান্ত মহিলাদের প্রি-ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি থাকে।
প্রসঙ্গে ডক্টর শ্বেতা গোস্বামী আইভিএফ বিশেষজ্ঞ এবং জিভা ফাটিলিটি ডিরেক্টর বলেছেন, “PCOD এবং ডায়াবেটিস পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। যা মেটাবলিক সিনড্রোম নামে পরিচিত। তাঁর কথায়, PCOS মহিলাদের এন্ডোক্রাইন সিস্টেমে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, যে সকল মহিলার পিসিওএস আছে তাঁদের ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেইসঙ্গে যদি তাঁর পরিবারের কোনও ডায়াবেটিক হিস্ট্রি থাকে বা সে যদি মোটা হয় বা প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে থাকেন অথবা নিজের শরীরের যত্ন কম নেন তবে তার ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সাধারণত মহিলাদের সবসময় নিজেদের ওজন ঠিক রাখা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। রোজকার খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে PCOS-এর সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। এক কথায় মহিলাদের নিজেদের দিকে খেয়াল দেওয়া ভীষণভাবে জরুরী।