মহানগর ডেস্ক: খাবারের জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সারা বিশ্বেই এমন অগ্নিমূল্যের ছবি সবার চোখে পড়েছে। এমন ঘটনার শুধু সাক্ষী হওয়াই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজেরাই এই ঘটনার ভুক্তভোগী । বেড়েছে জীবনযাপনের খরচ, যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মানুষকে। বেতন একটুও না বাড়লেও লাফ দিয়ে বেড়েছে জীবনধারণের খরচ। ব্রিটেনে রুম হিটার বন্ধ করে বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। জীবন ধারণের আকাশছোঁয়া খরচের কোপ গিয়ে পড়েছে পোষ্যদেরও ওপর। গতবছরই খরচ বাঁচাতে ব্রিটেনে পোষ্যদের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। খরচ বাঁচাতে পোষ্যদের জন্য নিয়ে আসা মাংস গৃহকর্তা-গৃহকত্রীর খাওয়ার খবরও জানা গিয়েছিল।
আর এবার খরচ বাঁচানোর জন্য কানাডার যে ঘটনার কথা জানা গিয়েছে,তাতে সবারই চোখ রীতিমতো ছানাবড়া (Canadian Woman Feeds Cricket Child For Cost Control) ! টিফানি লে নামে কানাডার এক মহিলা লেখিকা, যিনি খাবার নিয়ে লেখালেখিও করেন, তিনি তাদের ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন সংসারের মুদী দোকানের খরচ বাঁচাতে তিনি তাঁর আঠেরো মাসের সন্তানকে ঝিঁঝিঁ পোকা খাওয়াতে শুরু করেছেন। তাতে পুষ্টির অভাব মিটছে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। তিনি তাই-ই খাওয়াচ্ছেন। অগ্নিমূল্যের সময়ে বিভিন্ন পরিবার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে যেভাবে সম্ভব, সেভাবে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কী খাচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল বেঁচে থাকা।
তবে মুদির খরচ বাঁচাতে সন্তানকে ঝিঁঝি পোকা খাওয়ানোর খবর জেনে আঁতকে উঠেছেন সবাই। টিফানি জানিয়েছেন খাবারদাবার নিয়ে লেখালেখি করার জন্য তিনি এমন একজন মানুষ যিনি খাবার জন্য সবরকমই চেষ্টা করে থাকেন, তা পোকা খাওয়া হোক বা অন্য কিছু । তিনি ভাজা ট্যারান্টুলার পা থেকে বিছে খেয়ে তাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে বেড়ানোর সময় টিফানি ঝিঁঝি পোকা, পিঁপড়ে খেয়েছেন।
কীভাবে ওগুলি স্থানীয় খাবার ডিসে জায়গা করে নিয়েছে, তা তাকে অবাক করে দিয়েছিল। টিফানি জানিয়েছেন তাঁর সন্তানকে ঝিঁঝি পোকা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত তিনি সচেতনভাবেই নিয়েছেন। বাড়িতে সন্তান থাকলে এক সপ্তাহে আড়াইশো থেকে তিনশো ডলার বেড়ে গিয়েছে। তাই খরচ বাঁচাতে ঝিঁঝিঁ ভাজা স্ন্যাক, ঝিঁঝির প্রোটিন ও গোটা ঝিঝিঁ ভাজা কেনার সিদ্ধান্ত নেন টিফানি।
আর বিফ, চিকেন ও শূয়োরের মাংসের মতো দামি প্রোটিনের সঙ্গে ঝিঝিঁ পোকার নানা উপকরণ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়াতে শুরু করেন নিজের সন্তানকে। এরফলে প্রতি সপ্তাহে মুদির বিল দেড়শো থেকে দুশো ডলারে নামিয়ে আনতে পেরেছেন।