মহানগর ডেস্ক: পাকিস্তানের ভোট গণনায় প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। চলছে গণনা চলছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জনগণ দেশে নতুন সরকার নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
১২ কোটিরও বেশি ভোটার যাতে ব্যালটে তাদের মতপ্রকাশ করতে পারে তার জন্য দেশব্যাপী সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোট সমাপ্তির পরে ভোট গণনা শুরু হয় এবং বাধ্যতামূলক এক ঘণ্টার সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পরে পৃথক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে। এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ের দাবি করেছে কারণ গণনার যা প্রবণতা আসতে শুরু করেছে তাতে এই বিষয়টিই ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ইমরানেী দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে কারচুপি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল স্থগিত করার অভিযোগও করেছে। ইমরান খান জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের জনগণ ঠিক করেই রেখেছিল কাকে তারা সরকারে আনতে চলেছে।” এ পর্যন্ত মাত্র ১২টি জাতীয় পরিষদের আসনে গণনার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, এই ঘোষণা অনুযায়ী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিতরা পেয়েছে ৫টি আসন, নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন পেয়েছে ৪টি আসন পিপিপি- ৩টি আসন।
নওয়াজ শরিফ, যাঁকে অনেক পর্যবেক্ষক শক্তিশালী প্রার্থী বলে মনে করেন, তিনি কিন্তু অস্পষ্ট ফলাফলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে ভোট দেওয়ার পর নওয়াজ শরিফ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “কোনো জোট সরকারের কথা বলবেন না। একটি সরকারের জন্য স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।”