মহানগর ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার জাপান। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। পরপর জোরালো ভূমিকম্পে সোমবার কেঁপে ওঠে জাপান।কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৬। জারি হয় সুনামি সতর্কতা, বাড়তে থাকে জলস্তর। ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয় ১ জানুয়ারি। রিখটার স্কেলে তীব্রাতর প্রতিটি ছিল ৭.৬ ও ৬। দ্বীপরাষ্ট্রে ১৫৫টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সোমবার থেকে। এমনটাই জানা গিয়েছে জাপানের আবহাওয়া অফিস সূত্রে। রয়েছে সুনামি সতর্কতাও। এই ভূমিকম্পে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আছড়ে পড়েছে পাঁচ ফুটের মতো উঁচু ঢেউ। প্রধান মহাসড়ক সহ বন্ধ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট সারা দেশে। যার ফলে সেনা সদস্যদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও এবং পরিষেবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি,রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে,বিদ্যুৎহীন ৩৩ হাজার পরিবার। এই ভূমিকম্প ইশিকাওয়া ও আশপাশের প্রিফেকটারে আঘাত হেনেছে।জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি এমনটাই জানিয়েছে। জানা গিয়েছে এর মধ্যে একটি কম্পনের মাত্রা ৭.৪। জাপানের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ারের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকঠাক রয়েছে সবকিছু।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের, দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্তত এক হাজার মানুষ এরই মধ্যে, আশ্রয় নিয়েছেন সেনা ছাউনিতে।এই প্রসঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘এখন ভীষণ ঠান্ডা। জল, খাবার, কম্বল, গরম তেল, গ্যাসোলিন, জ্বালানির মতো অত্যন্ত জরুরি পণ্য হয় বিমান বা জাহাজে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ ত্রাণ পাঠানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। তবে আপাতত, বুলেট ট্রেন এবং বিমান-পরিষেবা বন্ধ ভূমিকম্পে-বিধ্বস্ত এলাকায়। বেশ কিছু হাইওয়েও বন্ধ। পাশাপাশি, বিপর্যয়ের ফলে ধ্বংস স্তূপ এর নিচে আটকে থাকা মানুষদেরও চলছে উদ্ধার কাজ।যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিত মঙ্গলবার সকাল থেকে চলছে সেই কাজ।