মহানগর ডেস্কঃ বিলাসবহুল জাহাজ বলতেই যার নাম সবার আগে মাথায় আসে তা হল টাইটানিক। বিলাসবহুল স্বপ্ননগরী যা সমুদ্রের ওপর এক স্বপ্নরাজ্য নিয়ে নেমেছিল। যাকে ঘিরে ছিল বহু চর্চা, বহু আলোচনা। একটা আস্ত সিনেমা তৈরি হয়েছিল যার কাহিনী নিয়েই। তবে এবার সেই স্বপ্নের টাইটানিককে টেক্কা দিতে সমুদ্রে গা ভাসাতে চলেছে টাইটানিকের বাপ! এবার সমুদ্রে নামতে চলেছে ‘আইকন অফ দ্য সিস’(icon of the seas),যার কাছে টাইটানিক কার্যত শিশু।
যানা যাচ্ছে এই প্রমোত্তরিটি টাইটানিক জাহাজের থেকেও প্রায় ৫ গুন বড়ো। সমদ্র জলরাশির মধ্যে ভাসতে চলেছে আস্ত এক মহানগরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি আছে এই বিলাসবহুল স্বপ্নপূরীতে। জানা যাচ্ছে, এই বিলাসবহুল জাহাজে আছে ৭ টি সুইমিংপুল। রয়েছে ৬ খানা ওয়াটার স্লাইড। আছে ৪০ টি রেস্তোরা। ৫০ জনের বেশি রয়েছে সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গে থাকবে ১৬টি অর্কেস্ট্রা। অর্থাৎ এই মায়াপুরী জাহাজে ভ্রমণ করা কালীন যাত্রীর সমস্ত রকম মনরঞ্জনের দিকেও খেয়াল রাখবে এই জাহাজের পরষেবা। বহু চর্চিত টাইটানিকের সঙ্গে বেশ কিছু বিস্তর ফারাক রয়েছে এই প্রমোত্তরিটির। টাইটানিকের দৈর্ঘ ছিল ৮৮২ ফুট, সেখানে এই ‘আইকন অফ দ্য সিস’- এর দৈর্ঘতা ১১৯৮ ফুট। টাইটানিকের বহর ছিল, ৪৬,৩২৮ জিটি, অপরদিকে ‘আইকন অফ দ্য সিস’ এর বহর ২,৪০,৮০০ জিটি। টাইটানিকে মোট ২,৪৩৫ যাত্রী একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারত, তবে এই নতুন জাহাজে একসঙ্গে ৭,৬০০ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। ৮৯২ জন কর্মী কাজ করতে পারত টাইটানিকে তবে এই নতুন জাহাজে ২,৩৫০ কর্মী কাজ করতে পারবে।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি রয়েছে এই জাহাজে। রয়েছে ৪০ টির বেশি রেস্তোরা ও পানশালা, ৭ খানা সুইমিংপুল, ৬ টা অয়াতারস্লাইড, রয়েছে সিনেমা হল। সমুদ্রের বুকে বরফে স্কি করার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এই জাহাজে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বারা চলবে এই জাহাজ। যাত্রী যেখানে থাকবেন তার প্রায় প্রত্যেক কক্ষ থেকেই সমুদ্র দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। জানা যাচ্ছে জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় দুশো কোটি ডলার। প্রায় ৯০০ দিনের পরিশ্রমে ফিনল্যান্ডের একটি কারখানায় নির্মিত হয়েছে এই জাহাজটি। তবে জানেন কি কত টাকা খরচ করলে তবে চরা যাবে এই জাহাজে? বলা হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রার প্রায় দেড় লক্ষ থেকে বারো লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মাথা পিছু। যখন বিশ্ব এই নতুন জাহাজ নিয়ে উত্তেজিত, তখনিই কিন্তু অপরদিকে এই জাহাজ নিয়ে শুরু হয়েছে পরিবেশবিদদের মধ্যে বিতর্ক। তবে আপনি বিতর্কে তোয়াক্কা না করে চাইলেই একবার চলে যেতে পারেন এই স্বপ্নপুরীতে, জলরাশির মাঝখানে।