মহানগর ডেস্ক: বিতর্ক বহুদিনের। ভারত শাসন করার সময় এই বহুমূল্য কোহিনূর হিরে (Kohinoor Diamond Controversy) ভারতের রাজপরিবারের কাছ থেকে ব্রিটেন নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। যে বিতর্কের শুরু ছিল কিন্তু কোনও শেষ নেই। রানি এলিজাবেথের (Queen Elizabeth) মৃত্যুর আগে সেই বহুমূল্য কোহিনূর হিরে গলায় পরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুসারে রানির উত্তরসূরি ক্যামিলা পার্কারের কোহিনূর হিরে খচিত মুকুটটি পরার কথা ছিল। কিন্তু ওই বহুমূল্য রত্ন নিয়ে বিতর্কের ইতিহাসের কারণে তা পরতে অস্বীকার করেন ক্যামিলা পার্কার। রাজা চার্লসের স্ত্রী হিসেবে রানির আসনে বসার কথা ক্যামিলা। কিন্তু অভিষেক অনুষ্ঠানে অমূল্য কোহিনূর হিরের হার পরার ব্যাপারে বেঁকে বসেন তিনি। বদলে রানি মেরির প্রাচীন মুকুট পরেন তিনি।
লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফের সহযোগী সম্পাদক জানিয়েছেন রাজপরিবার ওই কোহিনূর ঘিরে বিতর্কের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হওয়ায় তারা চায় না এ নিয়ে সেই বিতর্কের ডালপালা ছড়াক। অমূল্য কোহিনূর হিরে নিয়ে গল্প গাঁথা বহু দিনের। এই ফাঁকে জেনে নেওয়া যাক এর কিছু বিবরণ। কয়েক শতক আগের নথিতে কোহিনূল হিরের ওজন কত, তা লেখা আছে। ইস্ট ইন্ডিয়া ভারতের পঞ্জাবকে যুক্ত করার পর রানি ভিক্টোরিয়ার মুকুটে বসানোর আগে ওজন ছিল ১৮৬ ওল্ড ক্যারেট বা ৩৮.২ গ্রাম।
আনকাট অবস্থায় এটি ছিল ৭৯৩ ক্যারেট। এত বড় আকার ও ওজনের জন্য বিশ্বে এটি সবচেয়ে দামি হিরে বলে গণ্য করা হয়। বর্তমানে এর দাম ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! দুনিয়ার সবচেয়ে দামি রত্ন কোহিনূর হিরের ইতিহাস জানতে গেলে ভারতের পঞ্জাবে ফিরে যেতে হবে। কারণ এই অমূল্য রত্নের মালিক ছিলেন মহারাজা দলীপ সিং, তিনি ভারতে শিখ সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পঞ্জাবকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার পর রানি ভিক্টোরিয়াকে ভারতের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করে। কোহিনূর হিরের মালিক হয় ব্রিটেন। প্রথমে রানি ভিক্টোরিয়া ওই হিরে গলায় হারে লাগিয়ে পরতেন। যার পরে সেটি রানি আলেকজান্দ্রার মুকুটে লাগানো হয়। পরে তা রানি এলিজাবেথের মুকুটে বসানো হয়েছিল। আর শতক পার হলেও সেই অমূল্য কোহিনূর নিয়ে বিতর্ক এখনও চলে আসছে।