মহানগর ডেস্ক: জলে স্থলে অন্তরীক্ষে পুরুষদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে মেয়েরা। কোথায় তারা নেই ? আজকের দুনিয়ায় মহিলারা সর্বত্র বিরাজমান (Women Are Omnipresent)। মাটি থেকে আকাশ, দুর্গম পাহাড় থেকে হাড় কাঁপানো বরফে ঢাকা পর্বত চূড়ো- সব জায়গাতেই দাপটের সঙ্গে আছেন পুরুষদের পাশে। আর এ ব্যাপারে প্রমাণেরও অপেক্ষা রাখে না। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হেলায় সরিয়ে তাদের আকাশছোঁয়া সাফল্য এখন সবার মুখে মুখে।
এমনই এক অসম্ভব মহিলার নাম পার্লা তিজেরিনা। মেক্সিকোর ওই মহিলার বয়েস একত্রিশ (Thirty One Years Old Woman)। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে উত্তর ও লাতিন আমেরিকার বরফঢাকা দীর্ঘতম পর্বতচুড়ো পিকো ডে ওরিজাবায় (Snow Covered Volcano) থেকে নিজের পণ রেখেছিলেন।
তাঁর একমাত্র লক্ষ্য একটি বিশ্বরেকর্ড ভাঙা এবং দুনিয়ার সমস্ত মহিলাকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনুপ্রাণিত করা। যে বরফ ঢাকা পর্বতচুড়োর আগ্নেয়গিরিতে তিনি রয়েছেন সেই পর্বত চুড়ো সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮,৪৯১ ফুট উঁচু। এখানে তিনি বত্রিশদিন থাকবেন। পার্লা তাঁর এই মিশন ইম্পসিবলের জমে পাথর হয়ে যাওয়া ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে আপডেট করছেন আড়াই হাজার ফলোয়ারকে।
পার্লা জানিয়েছিলেন তাঁর মানসিক শক্তির পরীক্ষা করতে চান। এই মিশন তাঁকে মহা চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে সাহায্য করবে। এর নামও তিনি দিয়েছেন, হাই রাইজ ওম্যান। হিংস্র বাতাসের ঝাপটা, ভয়ঙ্কর ঝড় ও হাইপোথেমারমিয়ার মতো দুর্বিষহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন পার্লা।
এই ভয়ঙ্কর অভিযান শুরুর আগে তিনি পুংখানুপুঙ্ক্ষ মেডিকেল পরীক্ষা করেছেন যাতে তিনি এই অভিযানে সুস্থ থাকতে পারেন। এই সাহসিনী মহিলার কথায়, তিনি যেসব মহিলা মোটিভেশনের খোঁজ করেন তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য প্রেরণা হিসেবে থাকতে ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে চান। তাঁদের কাছে পার্লার বার্তা শত বাধা সত্ত্বেও তাঁরা যেন লক্ষ্যে পৌঁছনোর আশা ছেড়ে না দেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি একা নন। তাঁর অনেক বই পড়ার রয়েছে। সবসময়ই বাইবেল পড়ছেন যা তাঁকে মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে চলেছে।