মহানগর ডেস্ক: বর্ণবৈষম্যের নিদারুণ উদাহরণ (Racism In UK Hospital)। ব্রিটেনে এক শিখ রোগীকে তাঁর দাড়ির সঙ্গে প্লাস্টিকের গ্লাভস বেঁধে প্রস্রাবের মধ্যে ফেলে রেখে দিয়ে গেল এক নার্স। এমন খাবার তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছিল, ধর্মীয় কারণে তা খাওয়া সম্ভব নয়। মৃত্যুশয্যায় ওই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষটি বৈষম্যের অভিযোগ লিখে যাওয়ার পরও নার্সদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে এই নির্মম ঘটনাটির কথা জানানো হয়। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াফেরি কাউন্সিল থেকে ফাঁস হওয়া ডসিয়ার থেকে উদ্ধৃত করে ঘটনাটি তারা তুলে ধরেছে দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংবাদপত্র। কাউন্সিল কর্মরত নার্সদের ও রোগীদের সঙ্গে এমন বর্ণ বৈযম্যের অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরে থাকে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত বর্ণবৈযম্যের চাঞ্চল্যকর খবরের বিষয়ে তারা তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
এনএমসির প্রবীণ এক হুইসলব্লোয়ার দাবি করেছেন পনেরো বছর ধরে এনএমসি এ ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবৈষম্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দেশিকা জারির সময় হাসপাতালের কর্মীদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির বিযয়টি তারা খতিয়ে দেখেনি। তাঁর অভিযোগ এক শিখ সম্প্রদায়ের রোগীর দাড়ি প্লাস্টিক গ্লাভসের সঙ্গে বেঁধে নিজের প্রস্রাবের মধ্যে ফেলে রেখে যে খাবার তিনি ধর্মীয় কারণে খান না, সেই খাবার খেতে দিয়ে যে অপরাধ নার্স করেছে এবং যা নিয়ে মৃত্যুশয্যায় নোট লিখে গিয়েছিলেন ওই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষটি, তা জানার পরেও নার্সকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্রে অবশ্য ওই রোগী ও হাসপাতাল নিয়ে আর কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। হুইসলব্লোয়ার এনএমসিকে বর্ণবৈষম্য নিয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। কীভাবে কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ওপর কীভাবে বর্ণবৈষম্য করা হয়ে থাকে,সেইসব ঘটনার তদন্ত করে তা সমাধান করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সংগঠনে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বর্ণবৈষম্য প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে দেখা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।