মহানগর ডেস্ক: ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখে কাশ্মীর প্রসঙ্গ (Turkish President On Kashmir)। এবারও রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বিশ্বনেতাদের সামনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় আটাত্তরতম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট। সেসময়ই তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আরেকটি ঘটনা আঞ্চলিক শান্তিস্থাপন, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধির পথ মসৃণ করে তুলতে পারে। সেটি হল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাশ্মীরে ন্যায়সম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রতিষ্ঠা। তুরস্ক সেই লক্ষ্য পূরণে সবসময়ই সাহায্য করে যাবে।
জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের দিন কয়েক পর তাঁর এই মন্তব্য শোনা গেল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায়। সম্মেলনের ফাঁকে মোদী ও এরদোগান বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত যোগাযোগ শক্তিশালী করা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গর্বের বিষয়। আর জানিয়েছিলেন নিরাপত্তা পরিষদে তিনি পাঁচজন স্থায়ী সদস্য ও ১৫জন অস্থায়ী সদস্যেক স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে। ওই কুড়িটি দেশের (১৫ ও ৫) রোটেশন অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া উচিত।
মনে রাখতে হবে বিশ্ব ওই পাঁচটি দেশের চেয়েও অনেক বড়। শুধু আমেরিকা,ব্রিটেন, ফ্রান্স,চিন ও রাশিয়াকে নিয়েই বিশ্ব নয়। সাম্প্রতিক অতীতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বিশ্বনেতাদে সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের উচ্চস্তরের সাধারণ সভায় বিশ্বনেতাদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন এরদোগান। বলেছিলেন স্বাধীনতা প্রাপ্তির পঁচাত্তর বছর পরেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনও শান্তি ও সমর্থনের বাতাবরণ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁরা আশা করছেন কাশ্মীরে সুস্থ ও স্থায়ী শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।