মহানগর ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সারদের (Income Of Influencers) রোজগার কত, তা নিয়ে ঘনঘন আলোচনা হয়ে থাকে। মিলিয়ন রোজগার তো হেসেখেলেই অনেকে করে থাকেন। যাদের ফলোয়ার বেশি, তাদের রোজগারও তত আকাশছোঁয়া। আর এখন তরুণরা ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার দিকে ঝুঁকছে। কারণ এতে ঠিকমতো সবকিছু চললে কোটিতে পৌঁছনো কোনও ব্যাপারই নয়। টাকার অবশ্য মানুষ নয়। সে একটি গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুর (Richest Golden Retriever Insta gram Influencer)।
ইনস্টাগ্রামে তার রোজগার শুনলে কপালে উঠতে বাধ্য। এই ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারের রোজগার এক মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা আট কোটি আঠাশ লক্ষ টাকা! কী চোখ কপালে উঠল নাকি! পোট্রেট সংস্থা প্রিন্টেড পেট মেমোরির গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে টাকার বাডজিন এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একনম্বর ইনফ্লুয়েন্সার। তার এখন রোজগার কোটি কোটি টাকা। স্পনসরড বিজ্ঞাপন থেকে সে দু বছর বয়েসেই টাকার এই মুহূর্তে কোটি কোটি টাকার মালিক।
টাকারের মালিক কোর্টনি বাডজিন একটি ইউ়টিউব পেইড পোস্ট যেখান থেকেই করা হলেও তিরিশ মিনিটের প্রি-রোলে চল্লিশ হাজার থেকে ষাট হাজার মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। ইনস্টাগ্রামে কোর্টনিরা যে কোনও তিন থেকে চারটি স্টোরি হেসেখেলে কুড়ি হাজার ডলার রোজগার করে থাকেন।
তাঁর স্বামী একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ঘরদোর পরিষ্কারের কাজ করতেন। দুজনেই চাকরি ছেড়ে টাকার ও ছেলেকে পুরো সময়ের জন্য দেখাশোনার সময় দিচ্ছেন। ২০০৮ সালে টাকারকে যখন পেয়েছিলেন, তখন তার বয়েস ছিল আট মাস মাস। পরের মাসে তাকে নিয়ে প্রথম যে ভিডিও তৈরি করেন, সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
তাঁরা টাকারকে একটি আইস কিউব দিয়েছিল এবং সেটি সে পায়ের থাবায় লুকিয়ে রেখেছিল। সেটা ইনস্টাগ্রামে দেখানোর পর বহু মানুষ একেবারে ফিদা হয়ে যায়। ছ মাস বয়েসে টাকারের ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়ায় ষাট হাজার। একেবারে পাগলের মতো ব্যাপার। দি নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওই গোল্ডেন রিট্রিভারের পঁচিশ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। টিকটকে ১১.১ মিলিয়ন ও ৫.১ মিলিয়ন ইউ টিউবে। আর টুইটারে বাষট্টি হাজার চারশোজন ফলোয়ার।