মহানগর ডে্স্ক : চোখের নীচে ছোট্ট এক লাল রঙের দাগ (Tiny Red Spot Found)। আর সেই ছোট্ট লাল দাগের মাপ ০.৬৫ মিলিমিটার। যা গুরুত্ব দেওয়ার মতো নয়। কিন্ত সেই ক্ষুদ্রতম লালচে দাগ যে ত্বক ক্যানসার, তা শনাক্ত করে হইচই ফেলে দিয়েছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। ওই মহিলার চোখের নীচে বছরের পর বছর রয়েছে ওই ক্ষুদ্রতম লালচে দাগ (Smallest Skin Cancer Of World Found)।
চোখের নীচে আরেকটি লাল দাগ দেখতে পাওয়ায় তিনি দেখা করেন এক ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। আর তখনই বিষয়টি শনাক্ত করা হয়, যাকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ত্বক ক্যানসার বলে শনাক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রিস্টি স্টাটসের ত্বক পরীক্ষা করতে গিয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞ দেখেন তাঁর ডান চিবুকে আরেকটি লাল দাগ রয়েছে। সাদা চোখে সেটি দেখা কোনওমতেই সম্ভব নয়।
পরে সেটিকে ত্বক ক্যানসারের ভয়ঙ্করতম উপসর্গ মেলানোমা বলে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্সের বিশেষজ্ঞরা শনাক্ত করেন। স্টাটস জানান কোভিডের সময় নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশি ভাবনা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর বাথরুমে একটি ম্যাগনিফ্লাইং মিররের তাকিয়ে চমকে ওঠেন। দেখতে পান ওই লাল দাগটি অনেক বড় দেখাচ্ছে। তারপর সময় নষ্ট না করে তিনি ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অ্যাপয়েনমেন্ট করেন।
ওই লাল দাগটি এতটাই ছোট যে তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয় বলে ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট জানিয়েছে। নতুন এই রেকর্ডের জন্য পয়লা মে গিনেস বুকের এক বিচারক এসে ওএইচএসইউয়ের বিশেষজ্ঞদের শংসাপত্র দিয়ে যান। শনাক্তকরণ পয়লা জানুয়ারি করা হলেও মে মাসের এক তারিখে শংসাপত্র দেওয়া হয়। যিনি ওই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ত্বক ক্যানসারটি শনাক্ত করেছেন,সেই সহকারী প্রোফেসর ড. আলেকজান্ডার উইটকোওস্কি জানান পরীক্ষা করে এটা তিনি বুঝেছেন মারণ ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার আগে চিকিৎসা করা যেতো।
ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে বলা হয়েছে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিমের সঙ্গে চিকিৎসক ওই ক্ষুদ্রতম ক্যানসারকে শনাক্ত করতে ডার্মোস্কোপি ও রিফ্লেক্ট কোনফোকাল মাইক্রোস্কোপি ব্যবহার করেছেন। বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন মাইক্রো-মেলানোমা ত্বকের একেবারে ওপরে স্তরে দেখি গিয়েছে। ক্যানসারের লক্ষণ খুঁজে পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার আগে শনাক্ত করা গিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন সরকারের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন জার্নালে।